প্রধান মেনু

গহীন সুন্দরবনে ৪ দিন আটক রেখে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ বনকর্মকর্তার বিরুদ্ধে

 

আলোরকোল ডেস্ক ।।
ভাইয়ের সাথে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে এক শিশু বনরক্ষীদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত শিশু মোঃ ইমাম হোসেন (১১) কে ১৪আগষ্ট (শুক্রবার) রাতে শরনখোলা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।সে উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ খলিল খানের ছেলে ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইমামের মা -আমিরুননেছা সাংবাদিকদের বলেন, গত ১০ তারিখ ইমাম ও তার ভাই মিলন উপলোর বকুলতলা এলাকার বাসিন্দা ও ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হাসানুজ্জামান পরভেজের মালিকানাধীন একটি ট্রলারে মাছ ধরতে সাগরে যায় ।
তার একদিন পর শুনি মিলন সহ অন্যদের সুন্দরবনের কটকা অফিসের বনরক্ষরা আটক করে বাগেরহাট কোর্টে চালান করে দিয়েছে । পরবর্তীতে ইমামকে ফেরত পেতে আমি কটকা অফিসের (ইনচার্জ) আবুল কালামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করি। পরে মটর সাইকেল ভাড়া করে আমার মেয়ে জামাই রবিউলকে বাগেরহাট (ডিএফও) অফিসে পাঠাই ।

কিন্তু তার কাছে ইমামকে না দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেন ফরেষ্টাররা । এক পর্যায়ে নানা অনুনয় বিনয় করলে গত ৪দিন পর (শুক্রবার) রাত ৯টার দিকে শরনখোলা রেঞ্জ কার্যালয় থেকে ইমামকে অসুস্থ অবস্থায় আমার হাতে তুলে দেন রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো.জয়নাল আবেদীন। এ সময় ইমাম হোসেন অসুস্থ কেন জানতে চাইলে তারা আমাকে গালমন্দ করেন ।
ইমাম বলেন , নদীতে যাওয়ার পরের দিন ট্রলারের সবাইকে ধরে বাগেরহাট নিয়ে যায় স্যারেরা। সেখানে গেলে আমাকে একটি বিল্ডিং এর মধ্যে তালা মেরে আটকে রাখে । পরে আবার সুন্দবনের কটকায় নিয়ে যায় । ধরা পড়া পর গত ৪দিন আমি ঠিক মতো খেতে পারি নাই । এছাড়া কটকা অফিসের বড় স্যার ও শরনখোলা রেঞ্জ কার্যালয়ের (এসিএফ) এর দালাল নামে খ্যাত সোনাতলা এলকার বাসিন্দা মোঃ আলম হাওলাদার সহ অনেকে আমাকে মারধর করে এবং বলেন, সুন্দরবনে আর আসবি ?

এখন যদি তোকে মেরে ফেলি, এসব সহ নানা ভয় দেখান । ওই জেলেদেরও মহাজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হাসানুজ্জামান পারভেজ জানান, কটকার (ওসি) আবুল কালামের অনৈতিক দাবী পুরন না করায় তিনি  ক্ষিপ্ত হয়ে সাগরে ইলিশ আহরনের কাজে নিয়োজিত আমার অধীনস্থ জেলেদের কাছে তাদের পাস পারমিট দেখার ভান করে কটকা অফিসে ডেকে নিয়ে সবাইকে একটি রুমের মধ্যে আটকে ফেলে ।

পরে সুন্দরবনের নিষিদ্ধ এলাকায় মাছ ধরার কাল্পনিক অভিযোগ সাজিয়ে আমার ট্রলারে থাকা ৯ জেলের সাথে শিশু ইমামকে বাগেরহাটে চালান করে দেয়। কিন্তু ইমাম প্রাপ্ত বস্কয় না হওয়ায় তাকে ওই মামলায় আসামী করা হয়নি । যে কারনে তাকে র্কোটে না তুলে (ডিএফও) অফিস এলাকার একটি বিল্ডিংয়ে আটক রাখেন বনরক্ষীরা । এছাডা ইমামকে তার পরিবারের নিকট হস্থান্তরের না করে ৪দিন ধরে গহীন সুন্দরবনে নিয়ে নির্যাতন করেছে এবং নানা তাল-বাহানা শেষে ১৪আগষ্ট রাতে অসুস্থ অবস্থায় ফেরত দেন ।
এ ঘটনায় তিনি আইনী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান। তবে, এ ব্যাপারে জানতে পুর্ব সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জের আওতাধীন কটকা অভায়রন্য কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালামের ০১৫৩৮১৭৭৫৩৯ নং মুঠোফোনে বহুবার কল করা হলেও তা বন্ধ থাকার কারনে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অপরদিকে ,জানতে চাইলে শরনখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ জয়নাল আবেদীন জানন , ওই শিশুর সাথে কেউ কোন খারাপ আচারন করেছেন কি না ? তা আমার জানা নাই । কটকা থেকে বনরক্ষীরা ইমামকে আমার কার্যালয়ে নিয়ে আসলে (শুক্রবার) রাতে তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তবে ওই সময় ছেলেটা অসুস্থ ছিল না ।##






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*