এ উপলক্ষে রবিবার সকালে শেহলাবুনিয়ার ক্যাথলিক গির্জার সামনে রিগনের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয়, ফাদার মারিনো রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও মোংলা পোর্ট পৌর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংগঠন।
পরে শেহলাবুনিয়া মিশন হল রুমে আলোচনা সভা হয়। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, পৌর মেয়র জুলফিকার আলী, মোংলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুনীল কুমার বিশ্বাস, মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার, সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ফ্রান্সিস সুদান হাওলার, ফাদার মারিনো রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুবাশ বিশ্বাস সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নুর আলম শেখ প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, শিক্ষানুরাগী, অনুবাদক, কবি ও সাহিত্যিক ফাদার মারিনো রিগন ১৯২৫ সালে ৫ ফেব্রম্নয়ারি ইতালির ভিল্লাভের্লা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কাটান বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার শেহলাবুনিয়া পল্লীতে।
শেহলাবুনিয়ায় থাকাকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ইতালিতে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর তিনি মারা যান। তার অিন্তম ইচ্ছানুযায়ী এক বছর পর ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর রিগনের মরদেহ ইতালি থেকে এনে শেহলাবুনিয়ায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
ফাদার রিগন ইতালির নাগরিক হলেও বাংলাদেশ সরকার ২০০৮ সালে তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়। এ ছাড়া ২০১২ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা দেওয়া হয়।
লালনের সাড়ে তিনশ গান, গীতাঞ্জলিসহ রবীন্দ্রনাথের ৪৮টি বই এবং কবি জসীম উদ্দীনের নক্সীকাঁথার মাঠ, নির্বাচিত কবিতা, সুজন বাদিয়ার ঘাট ইতালি ভাষায় অনুবাদ করে বাংলা সাহিত্যে উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে আছেন ফাদার মারিনো রিগন।