প্রধান মেনু

শরণখোলায় সম্পত্তি দখল করে মাটি খনন করায় হুমকির মুখে দরিদ্রদের আবাসন প্রকল্প

.
শরণখোলা (বাগেরহাট)প্রতিনিধি।।

বাগেরহাটের শরণখোলায় জমি দখল করে মাটি খনন করায় হুমকির মুখে পড়েছে হতদরিদ্রদের একটি আবাসন প্রকল্প। উপজেলার চাল রায়েন্দা গ্রামে ২০০৭ সালে নির্মিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুসলিম এইড এর ওই আবাসন প্রকল্পে আশ্রিত বাসিন্দারা এমন অভিযোগ করেন।
আশ্রিত বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক মাসুদ হাওলাদার বলেন, সম্প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালী প্রতিবেশি আঃ হালিম খলিফা, জব্বার খলিফা ও নবী হোসেন খলিফা ৬০/৬৫ জন লাঠিয়াল টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে তাঁর ক্রয়কৃত ৬ শতক সম্পত্তি জবর দখল করে নেয়। পরে সেখানে লম্বা করে গভীর ভাবে মাটি খনন করেন। ওই সময় বাঁধা দিলে তাকে সহ ওই পল্লীতে বসবাসরত বাসিন্দাদের মারপিটের পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। কিন্তু গত কয়েক দিনের বারি বর্ষণের ফলে তাঁর বসত ঘর সহ পল্লীর পেছন দিক থেকে ভাঙন শুরু হয়। এতে ওই প্রকল্পে বসবাসরত বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজাহান বাদল জোমাদ্দার মিমাংসার কথা বললেও প্রভাবশালী হালিম খলিফা ও তাঁর সহযোগিরা তা উপেক্ষা করে খনন কাজ অব্যাহত রাখায় হুমকির মুখে পড়েছে পল্লীতে অবস্থানরত অর্ধশত পরিবারের কয়েক শত মানুষ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে উত্তেজনার পাশাপাশি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা মোতালেব হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার, আঃ রউফ তালুকদার, আঃ জলিল তালুকদার সহ স্থানীয় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হালিমের পরিবার পল্লীর পেছন দিক থেকে কিছু জমি দাবি করে মাটি খনন করায় ছিন্নমূল বাসিন্দাদের বসত ঘরগুলো ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। জোরপূর্বক মাটি খনন করে দরিদ্র পরিবারগুলোকে চরম ক্ষতির মুখে ফেলেছে। বিষয়টি প্রশাসন আমলে নিয়ে সুষ্ঠু মিমাংসা না করলে ঘটনাটি বড় আকার ধারণ করতে পারে।
তবে, এ বিষয় হালিম খলিফার ভাই নবী হোসেন খলিফা বলেন, আমরা জমি পাবো, তাই সীমানা ঠিক রাখার জন্য মাটি কেটেছি। পল্লীর কোন ক্ষতি হলে আমাদের কিছুই করার নেই।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*