প্রধান মেনু

মঠবাড়িয়ায় বাঁধ ধসে ৬ গ্রাম প্লাবিত ,যুবলীগ নেতার উদ্যোগে বিপন্ন বাধ মেরামত

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি  ।।

পিরোজপুরেনর মঠবাড়িয়ায় চলমান টানা বর্ষণ ও জলোচ্ছাসে বলেশ্বর নদী তীরবর্তী ভোলমারা বেরিবাধ ধসে ৫ গ্রামে প্লাবিত, ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দীসহ ৫ হাজার হেক্টরের ফসল প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। ফলে বাধ সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসি চরম দুরেভাগে ও কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় বড়মাছুয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ধসে যাওয়া বেরিবাধ বৃহস্পতিবার দিনভর মেরামত করেন।


সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, বড়মাছুয়া ও বলেশ্বর নদীর মোহনার দক্ষিণ পারের মোসলেম শরীফ বাড়ি সংলগ্ন ভোলমারা খালের মোহনার বেরিবাধের ধসে যাওয়া অংশে শতাধিক গ্রামবাসি মাটি ভরাট করে মেরামত করে। স্থানীয় যুবলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম এ বাধ মেরামত নির্মাণে শ্রমজীবী মানুষকে ন্যায্য মজুরি প্রদান করে এ জনস্বার্থে এ মেরামত কাজ করেন। ফলে বলেশ্বর নদীর স্বাভাবিক জোয়ারের প্লাবন হতে সংশ্লিষ্ট এলাকার ৫ গ্রামের প্লাবন ঠেকানো হয়।

জানাগেছে, বলেশ্বর নদীর ভোলমারা বেরিবাধের প্রায় এক কিলোমিটার বাধ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে আম্ফানের পর ক্ষতিগ্রস্ত বাধ মেরামত করা হয়নি। গত দুই সপ্তাহের টানা বর্ষণ ও বলেশ্বর নদী লাগোয়া অস্বভাবিক জোয়ারের চাপে ভোলমারা খালের মোহনার বাধের ১০০ মিটার অংশ সম্পূর্ণ ধসে যায়। এতে জোয়ারের পানি ঢুকে ৫ গ্রামের নিন্মাঞ্চল ডুবে যায়। প্রতিদিন ও ভাঙা বাধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্লাবিত হয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে।

বড়মাছুয়া ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জানান, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ভোলমারা মোহনা খালের একটি স্লুইজগেট নির্মাণ প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ড হাতে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ শুরু করা মূহুর্তে স্থান নির্ধারণের জমি নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসির মধ্যে জটিলতা দেখা দেয়। ফলে ঠিকাদার সময় মত নির্মাণ কাজ শুরু করতে না পারায় প্রকল্পের সমুদয় অর্থ ফেরত চলে যায়।

এ বিষয়ে বড় মাছুয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ভোলমারা মোহনায় স্লুইজগেট না থাকায় প্রতিদিন স্বাভাবিক জোয়ারে ৫ গ্রামের কৃষিজমি ও বসতিতে বলেশ্বর নদীর লবণ পানির প্লাবন দেখা দিয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ৬ হাজার পরিবার, ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্মূখীন । এমন অবস্থায় আমি ব্যাক্তিগত উদ্যোগে শতাধিক গ্রামবাসি শ্রমিক নিয়ে ১০০ মিটার অংশের বাধে মাটি ভরাট করে সাময়িক মেরামত করেছি। তবে এখানে ভোলমারা খালে একটি স্লুইজগেট নির্মাণ অতি জরুরী।

পিরোজপুর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বালি বলেন, গ্রামবাসির উদ্যোগে ভাঙা বাধ মেরামত প্রশংসনীয়। তবে ওই স্থানের বাধের ৩২৯ মিটার প্রকল্প ভূক্ত উচুকরণ ও ব্লক নির্মাাণের কাজ আগামী অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে বাধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মী ভৌমিক বাধ ধসের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ভোলমারা বাধের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক অতি বৃষ্টি ও জোয়ারের প্লাবনে বাধের ভোলমারা মোহনায় ধস নেমেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয়দের উদ্যোগে বাধের কিছু অংশ মেরামতের বিষয়টি প্রশংসনীয়।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*