প্রধান মেনু

ভারী বর্ষণে বীজতলা বিনষ্ট,শরণখোলার চাষীরা দিশেহারা

 
শরণখোলা প্রতিনিধি :
শরণখোলায় বাজারে আমনের বীজ ধান পাওয়া যাচ্ছে না। আমনের বীজ সংকটে চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণে উপজেলার গ্রামাঞ্চলে আমনের বীজতলা বিনষ্ট হওয়ায় নতুন করে বীজ ধানের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
শরণখোলা উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন আকন, বুধবার সকালে উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারে আমন ধানের বীজ কিনতে এসে না পেয়ে ফিরে যাওয়ার সময় এ প্রতিনিধিকে বলেন, টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে ধান ক্ষেত ৪/৫ ফুট পানির নীচে ডুবে যায়। আমনের বীজতলা পানিতে ডুবে থাকায় তার দেড় একর জমির বীজ (ধানের চারা) বিনষ্ট হয়েছে।

এ বছর আমন উৎপন্ন হবেনা বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন। একই ধরণের কথা বলেন চালিতাবুনিয়া গ্রামের কৃষক মনির তালুকদার, বগী গ্রামের দেলোয়ার মুন্সি, শাহ আলম মুন্সি, খুড়িয়াখালী গ্রামের শাহজাহান মোল্লার, ফুল মিয়া এবং মঠেরপাড় গ্রামের আঃ রব খলিফা,কদমতলা গ্রামের শাজাহান আকন,রাজাপুর গ্রামের আবুল কালাম। তাদের প্রত্যেকের এক দেড় একর জমির আমন বীজ বিনষ্ট হয়েছে। এখন বীজ ধান বা ধানের চারা না পেলে এবছর তারা আমন ধান উৎপন্ন করতে পারবেন না বলে হতাশা ব্যক্ত করেন।
শরণখোলা উপজেলা সদরের বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সার ও বীজ ডিলার স্বপন কুমার নাগ বলেন, তাদের কাছে এখন কোন আমন বীজ ধান নেই বিএডিসি গুদামে বীজ ধান না থাকায় তারা আনতে পারছেন না।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াসিম উদ্দিন বলেন, সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলায় আমনের বীজতলা অর্ধেক বিনষ্ট হয়েছে। আউশ ২৫ ভাগ বিনষ্ট হয়েছে।

এ বছর শরণখোলায় ৭৩০ হেক্টর জমিতে আমন বিআর ৫২ এবং ২৩৭ হেক্টর জমিতে আউশের বীজতলা করা হয়েছিলো। তিনি আরো বলেন, বাজারে বীজ ধান না থাকায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বিশেষ উপায়ে কৃষকদের বীজ ধান দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ঐ কর্মকর্তা জানান।####






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*