বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ

পীর হযরত খাজা খানজাহান আলী (রঃ)। গড়েছেন নান্দনিক স্থাপত্য শৈলীক ধর্ম প্রচার ও মানব কল্যানে। বিশ^ প্রামান্য ঐতিহ্য খ্যাত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ উপকলীয় বন সুন্দরবন বাগেরহাটকে অসীন করেছে সুউচ্চ স্থানে বিশে^র বুকে। বাগেরহাট-কচুয়া বাগেরহাট ২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র শেখ সারহান নাসের তন্ময়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ২ লক্ষাধিক ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সরদার নাসির উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রিজিয়া পারভিন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন চার জন। ইতিমধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ হয়েছে চলছে গণসংযোগ ৪ প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বাগেরহাট সদর উপজেলায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মাসুদুর রহমান পেয়েছেন টিউবয়েল প্রতীক। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক সরদার আব্দুল কাদের পেয়েছেন তালা প্রতীক, মোঃ আমির হোসেন চশমা, রেজাউল মাস্টার উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
প্রার্থী অনেক হলেও জনগনের প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মাসুদুর রহমানের বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবন কেড়ে নিয়েছে হাজারো কর্মী, সমর্থক ও সাধারন মানুষের মন। বাগেরহাট সদর উপজেলার খ¦ারদারের এক সময়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মৃত আব্দুল হাকিম সরদারের পুত্র সরদার মাসুদ। শিক্ষা জীবন শেষে নেমে পড়েন রাজনৈতিক ও সমাজকল্যান মূলক কাজে। ১৯৯৫ সালে জননেতা শেখ হেলাল উদ্দিনের হাত ধরে রাজনীতিতে শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে দল গঠনে আওয়ামীলীগের সকল কর্মকান্ডে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে নেমে আসে তার ওপর নির্যাতন। একাধীক বার স্বীকার হন হামলা ও মামলার। ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় বারবার করাবরন করতে হয় তাকে। বার বার নির্যাতনের স্বীকার হলেও থেমে থাকেনি তার রাজনৈতিক পথ চলা। ২০০৬ সালের যুব লীগের সম্মেলনে তিনি জেলা যুব লীগের সহ সভাপতি নির্বচিত হন। জেলা যুব লীগের তৎকালীন সভাপতি খান মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে জোট সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে তোলেন তীব্র আন্দোলন। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের নিরঙ্কুশ বিজয়ের নেতথ্যে তার অবদান ছিল অপরিসীম। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতীদ্বন্দিতা করেন ও বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। ২০১৫ সালে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় পরিষদকে গনমুখী করে তোলেন। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাগেরহাটবাসির যেন জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সৎ,নির্ভীক ও আস্থাভাজন নেতা নির্বাচিত করতে চায় জনগন।
সাধারণ মানুষের কাছে প্রার্থী সর্ম্পকে জানতে চাইলে তারা বলেন, সরদার মাসুদ অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চেতনার অধিকারী, নিবেদিত প্রান আওয়ামী লীগ, আদর্শবান সমাজ কর্মী ও পরিচ্ছন্ন রাজনিতীবিদ। আমরা তাকে আবারো বাগেরহাট সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। #