প্রধান মেনু

এরশাদকে ঢাকায় নয়, রংপুরে দাফন করা হবে

আলোরকোল ডেস্ক ।।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ঢাকায় নয়, রংপুরে তার বাসভবন পল্লী নিবাসেই দাফন করা হবে বলে দলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। এর আগে এরশাদের মৃত্যুর দিনই জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রয়াত এই নেতার দাফন হবে বনানীতে সামরিক কবরস্থানে। 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের বলেছেন, দলের সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের দাফন রংপুরেই হবে।

তিনি বলেন, ‘এরশাদকে রংপুরে দাফন করার ব্যাপারে ঢাকায় যারা আছেন, তাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তারা সম্মতি দিয়েছেন বলে আমি এ সিদ্ধান্তের কথা জানালাম।’

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে দিকে রংপুর কালেক্টরেট মাঠে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ ও শেষ জানাজা সম্পন্ন হয়। সেখানে লক্ষাধিক মানুষ জানাজায় শরিক হয়। জানাজার আগে থেকেই এরশাদের দাফন রংপুরে করার দাবিতে হট্টগাল শুরু করেন তারা।

জানাজার আগে বক্তৃতায় মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এই দাবি আবারও তোলেন। এরপর জি এম কাদের বক্তব্য শুরু করলে তার বক্তব্যের মাঝেই দাফনের বিষয়টি উল্লেখ করে শ্লোগান শুরু হয়। পরে বেলা ২টা ২৫মিনিটে এরশাদের জানাজা শুরু হয়। জানাজার পর শত শত কর্মী এরশাদের মরদেহ বহনকারী গাড়িটি ঘিরে ধরে। তারা রংপুরে কবর দেওয়ার দাবি করেন। গাড়িটিতে আছেন মেয়র মোস্তাফিজ। ময়দানে মাইক থেকে তার প্রতি আহ্বান জানানো হয়, মরদেহ যেন রংপুর থেকে ঢাকায় না যায়। এ অবস্থায় বেলা তিনটার দিকে এরশাদের মরদেহ শহরে তার বাড়ি পল্লী নিবাসে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টার ঢাকা থেকে রংপুর সেনানিবাসে অবতরণ করে।

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুরের মানুষের ভালোবাসার প্রতি  শ্রদ্ধা রেখে রংপুরেই এইচএম এরশাদকে দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ। পাশে রওশন এরশাদের জন্য কবরের জায়গা রাখার অনুরোধও করেছেন তিনি।

বেগম রওশন এরশাদ এমপি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি রংপুরের গণমানুষের ভালোবাসা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তাদের আবেগ ও অনুরাগেই রংপুরে পল্লীবন্ধুকে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গেত, এরশাদ সিএমএইচে চিকিৎসাধীন থাকার সময় থেকেই রংপুর জাতীয় পার্টির নেতারা তাকে রংপুরে দাফনের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের যুক্তি, এরশাদ বলে গেছেন রংপুরে মৃত্যু হলে তাকে যেন পল্লী নিবাসে দাফন করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় এরশাদের বাসভবন পল্লী নিবাসের পাশে তার বাবা মরহুম মকবুল হোসেন মেমোরিয়াল হাসপাতাল এলাকায় লিচু বাগান চত্বরে তার জন্য কবরও খনন করা হয়।

পরে গতকাল সোমবার রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর জাতীয় পার্টির (জাপা) সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের লাশ রংপুর থেকে ঢাকা নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে বুকের রক্ত দিয়ে ঢাকায় দাফন করতে নিয়ে যাওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হবে। তার দাফন রংপুরেই হবে।

জাপা চেয়ারম্যান ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে মারা যান। রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা,ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন এরশাদ।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*