আদালতের নির্দেশে
শরণখোলায় হালিমা হত্যার ৫ মাস পর থানায় মামলা
মাসুম হাওলাদার বাগেরহাট ।।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা গৃহবধু হালিমা বেগম (২০) হত্যার ৫মাস পরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে শরণখোলা থানা পুলিশ ১০ এপ্রিল মামলাটি নথিভুক্ত করে। নিহতের বড় ভাই মাসুম মিয়া বাদী হয়ে হালিমা বেগমের স্বামী মোঃ আল আমিন মুন্সিসহ ৮ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২০ মার্চ শরণখোলা উপজেলার চালিতা বুনিয়া গ্রামের আব্দুল হাই হাওলাদারের মেয়ে হালিমা বেগমের সাথে রাজৈর গ্রামের মজিদ মুন্সির ছেলে আল আমিন মুন্সির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় উপঢৌকন হিসেবে আল আমিনকে ৫ লক্ষ টাকার মালামাল প্রদান করে হালিমার পরিবার। তারপরও ১০ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে হালিমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত আল আমিন। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় যৌতুকের জন্য টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হালিমাকে মারধর করে। পরে হালিমাকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায়, আল আমিন ও তার পরিবারের লোকেরা। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক হালিমাকে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পরের দিন পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহতের বড় ভাই নাসির উদ্দিন বলেন, বিয়ের পর থেকে বোনের সুখ শান্তির জন্য বিভিন্ন সময় আল আমিনকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছি। মোটা অংকের যৌতুকের লোভে পরিকল্পিত ভাবে আমার বোনকে হত্যা করেছে। আমরা ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতে মামলা করেছি। তবে হত্যাকারীদের বিচার হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অজ্ঞাত কারণে তারা গ্রেফতার হচ্ছে না।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার বলেন, হালিমা হত্যার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামীদের আটকে পুলিশ তৎপর রয়েছে ।