প্রধান মেনু

আওয়ামীলীগের দাবী এরা দলে অনুপ্রবেশকারী

শরণখোলায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে ছাত্রলীগের টানা হেচ্ড়া

আলোরকোল ডেস্ক ।।
ছাত্রলীগের শরণখোলা সরকারি কলেজ শাখার কতিপয় নেতা কর্মীর উচ্ছৃংখল আচরন, চাঁদা দাবী ও কলেজের আভ্যন্তরীন কাজে বাঁধা দেয়ায় ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ অন্যান্যদের ছবি অবমাননার নাটক সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

             শরণখোলা সরকারী কলেজের নবনির্মিত ভবন ।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কলেজের অধ্যক্ষকে  জড়িয়ে বিতর্কিত পোষ্ট দিয়ে কলেজের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করার অভিযোগ উঠেছে ওই নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে।

এদিকে, কলেজ শাখা ছাত্রলীগে এসব অছাত্র অনুপ্রবেশকারীরা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও দলের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করছে বলে উপজেলা আওয়ামীললীগ দাবী করেছে।
জানা যায়. রমজান মাসের শেষের দিকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের শরণখোলা কলেজ শাখার কতিপয় নেতা কর্মী শরণখোলা সরকারি কলেজের মসজিদের ভিতরে এসি ব্যবহার করে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা  দেয়া এবং  ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে।

অধ্যক্ষ নুরুল আলম ফকির এসব কর্মকান্ডে বাধা দিলে  তারা   ক্ষিপ্ত হয় ।  অধ্যক্ষকে জব্দ করতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থদের ভর্তি সংক্রান্ত আবেদন ও রেজিস্ট্রেশন ফি বাড়তি আদায় করা হয় বলে অভিযোগ তোলে। পরে বিষয়টির সত্যতা না  পেয়ে  অধ্যক্ষকে নাজেহাল করতে ফেইস বুকসহ বিভিন্ন  যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটাতে শুরু করে ।

উপজেলা নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশনের এবং শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লিন ক্যাম্পাস গড়তে কলেজে টানানো নেতা কর্মীদের ব্যানার,ফেস্টুন  অপসারন করে ভবনের বারান্দায় জমা রাখেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ব্যানারে নেতাকর্মীদের ছবির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন ও বদিউজ্জামান সোহাগের ছবি ছিল। অধ্যক্ষকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসাতে ঈদের ছুটির ফাঁকে কে বা কারা ওই ব্যানারগুলি পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে ছবি তুলে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননা করা হয়েছে বলে তা ফেসবুকে পোস্ট করে চক্রটি বিভ্রান্তি ছড়ায়।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ নূরুল আলম ফকির জানান, বিভিন্ন অন্যায় দাবী  মেনে না নেয়ায়   ছাত্রলীগের কলেজ শাখার আহবায়ক সাইফুল ইসলাম সাব্বির, যুগ্ম আহবায়ক সিয়াম বাবু, সাবেক সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, ছাত্রদল নেতা গোলাম রাব্বিসহ  ছাত্রনেতারা  তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

এরা কলেজের কেউ ছাত্র নয়। কলেজের মসজিদে ইফতার মাহফিলে বাঁধা দিয়ে তা পন্ড করা, কলেজের অফিসে এসে টাকা দাবী, বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে নাটক সাজিয়ে তাদেরকে অবমাননা করা ও ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে জাতীয় নেতা সহ  কলেজের  ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন আকন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সাইফুল ইসলাম খোকন, সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক সাব্বির আহম্মেদ মুক্তা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মধু জানান, এরা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী।

ওই ছাত্র নেতাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে জাতির জনক ও তার কন্যা শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে নাটক সাজিয়ে জাতীয় নেতাদের সম্মানহানি এবং দলের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস কলেজের কাগজপত্র দেখে জানান, শিক্ষার্থীদের আবেদন ও রেজিস্ট্রেশনে কোন বাড়তি টাকা আদায় করা হয়নি ।

এব্যাপারে কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. শাইফুল ইসলাম সাব্বির বলেন তাদের  বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নায় ।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*