প্রধান মেনু

শুকনা খাবার, মোমবাতি এবং দিয়াশলাই বিতরণ

শরণখোলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্ছ প্রস্তুতি

 

আলোরকোল ডেস্ক ।।

 ঘূর্নিঝড় বুলবুল সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় শনিবার বিকেল থেকে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে। সঙ্গে করে হাস-মুরগী, গরু-ছাগলও আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে তারা।

উপজেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে (কন্ট্রোল রুম) উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা রনজিৎ সরকার জানিয়েছেন, উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বলেশ্বর তীরবর্তী আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এবং সুন্দরবনের দুবলার শুঁটকি পল্লীর আওতাধীন পাঁচটি চরের পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্রসহ মোট ৯৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

উপজেলার মোট জনসংখ্যার তিনের একভাগ। যারা এখনও পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি তাদেরকে সেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নিরাপদে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেচ্ছসেবকরা সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উপজেলার সর্বত্র প্রচারণা চালাচ্ছে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহীন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্ছ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক সেচ্ছাসেবক লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়াসহ সবধরণের সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সদস্যরা মাঠে রয়েছে।

চার ইউনিয়নে চারটি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এবং দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত যারা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে তাদের মধ্যে শুকনা খাবার, মোমবাতি এবং দিয়াশলাই বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত শুকনা খাবারের প্যাকেট মজুত রয়েছে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*