প্রধান মেনু

মোংলায় এক  প্রতারকের বিরুদ্ধে চা বিক্রেতার  ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ।।

মোংলায় জমি দেয়ার কথা বলে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দুলাল জমাদ্দার নামের প্রভাবশালী এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। প্রতারণা করে ওই ব্যবসায়ী দিগরাজ বাজারের হেমায়েত সরদার নামের এক চা দোকানীর কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

কিন্তু টাকা নেয়ার চার বছরেও ওই প্রতারক ব্যবসায়ী চা দোকানীকে এখনও জমি বুঝিয়ে দেয়নি। এখন উপায়ান্তু না পেয়ে বিচার চেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন চা দোকানী হেমায়েত। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কথিত প্রভাবশালী দুলাল জমাদ্দার তাকে বিভিন্ন রকমের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দায়ের করা লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৪মে হেমায়েত সরদার মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা মৌজার ৩৪ দাগে দুই কাঠা (৫.২০ শতক) জমি তিন’শ টাকার স্ট্যাম্পে (স্ট্যাম্প নং-৩০২৪) বায়না দলিল করেন দুলাল জমাদ্দার সাথে। এরপর কয়েক দফায় জমির মুল্য বাবদ আঠারো লাখ টাকা পরিশোধ করেন হেমায়েত সরদার।

যা দুলাল জমাদ্দার নিজে স্বাক্ষর করে সমুদয় টাকা গ্রহণ করেন। হেমায়েত সরদার অশিক্ষিত হওয়ায় বায়না চুক্তিতে প্রতারণা করেন দুলাল জমাদ্দার। চুক্তি নামায় দাতার স্বাক্ষরের স্থলে দুলাল জমাদ্দারের স্বাক্ষর থাকলেও দাতার নামের জায়গায় রয়েছে জনৈক বিজন হালদার ও মিহির হালদার নামক দুই ব্যক্তির।
হেমায়েত সরদার অভিযোগ করে বলেন, বায়না চুক্তি দলিলের প্রতারণা ধরা পড়ায় তাদের সাথে পুনরায় ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই আরেকটি বায়না দলিল চুক্তি করেন দুলাল জমাদ্দার। বায়না চুক্তির তিন বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনো তাদের জমিটুকু রেজিষ্ট্রি করে দেননি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু দুলাল জমাদ্দার।

উল্টো মামলা হামলা আর বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের হয়রানী করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বায়না চুক্তি মূল্যে ক্রয় করা জমিটুকুর রেজিষ্ট্রি পেতে, জনপ্রতিনিধি আর সমাজপ্রতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে আর টাকার শোকে স্ট্রোক করে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন চা দোকানী হেমায়েত সরদার।

মৃত্যুর কাছে হারমানার আগে তিনি নিজ নামে জমিটুকু রেজিষ্ট্রি করে যেতে চান। যেখানে মাথা গোজার ঠাঁই হবে স্ত্রী-সন্তানদের। এজন্য র‌্যাব আর পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাইছের তিনি।
এ বিষয়ে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র বলেন, দুলাল জমাদ্দারের টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। তাই চুক্তি অনুযায়ী জমিটি রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার জন্য তিনি থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে চেষ্টা করেছেন।

কিন্তু দুলাল জমাদ্দার উল্টো হেমায়েত সরদারের নামে আদালতে একটি মামলা ঠুকে দেয়। আদালতে যাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ বিষয়টি এড়িয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
বায়না চুক্তিদাতা দুলাল জমাদ্দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার নামে রির্পোট করেন, তাতে কিছু আসে যায় না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাহাত মান্নান বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে থাকলে উভয় পক্ষকে নিয়ে শুনানির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*