প্রধান মেনু

পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণের নামে অর্থ আত্মসাতের দুই মামলায়

বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

আলোরকোল ডেস্ক।।

পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণের নামে অর্থ আত্মসাতের দুই মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ আদেশ পাওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে জেলার দায়রা জজ আদালতে তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। তাঁর আগাম জামিনের দুটি আবেদন নিষ্পত্তি করে গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নকিব সাইফুল ইসলাম।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। মেয়রের আইনজীবী নকিব সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দুটি মামলাতেই আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন মেয়র খান হাবিবুর রহমান। আদালত নির্দেশনাসহ আবেদন দুটি নিষ্পত্তি করে তিন সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে তিনি জামিন চাইলে মামলার গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে তাঁর জামিন আবেদন বিবেচনা করতে বলেছেন আদালত। ’

পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে খান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গত বছর ২৫ নভেম্বর আলাদা দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।

এর মধ্যে পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগের নামে টাকা আত্মসাতের মামলায় মেয়র হাবিবুরসহ আরো ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হাবিবুর রহমান বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পদক।   

মামলার অন্য আসামিরা হলেন পৌরসভার সাবেক সচিব মোহম্মদ রেজাউল করিম, পাম্পচালক দিপু দাস, নিতাই চন্দ্র সাহা, মো. মেহেদী হাসান, বাজার শাখার আদায়কারী মো. আসাদুজ্জামান, মো. সৌদি করিম, সাব্বির মাহমুদ, পারভীন আক্তার, স্বাস্থ্য সহকারী সেতু পাল পূজা, সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক জ্যোতি দেবনাথ, সহকারী কর আদায়কারী মো. মারুফ বিল্লাহ, বালি শফিকুল ইসলাম, পানি শাখার ক্লার্ক শারমিন আক্তার বনানী, ট্রাকচালক মো. হাচান, সুইপার সুপারভাইজার হাসনা আক্তার, মো. জিলানী ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তানিয়া। তাঁদের সবাইকে বরখাস্ত করা হয়েছে।   

নিয়োগের মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান কোনো নিয়মনীতির প্রতিপালন না করে অবৈধভাবে ১৭ জনকে পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

এ ছাড়া ২০১৪ ও ২০১৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় পৌরসভার উন্নয়নের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডে দুই কোটি টাকা জমা করে। ওই টাকা থেকে আবাহনী ক্লাব ও ডায়াবেটিক হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ৫০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়, কিন্তু পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান ও তৎকালীন সচিব মোহম্মদ রেজাউল করিম ভবন নির্মাণ না করে পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

২০২০ সালে হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তা অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে সরকারের অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় দুটি মামলা করা হয়।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*