কোস্টগার্ডের ৩ নৌযানচালক আহত
বলেশ্বর নদে টহলরত কোষ্টগার্ডের উপরে জেলেদের হামলা
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ।।
বলেশ্বর নদে টহলরত কোষ্টগার্ডের ওপর জেলে কতৃক হামলার ঘটনা ঘটেছে । হামলায় কোস্টগার্ডের ৩ নৌযানচালক আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল ) রাতে বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড স্টেশন ভান্ডারিয়ার কন্টিজেন্ট কমান্ডার এম মোস্তাক আহমেদ (পিও) বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ২৫ জন এবং অজ্ঞাত আরো ৭০ থেকে ৮০ জন জেলেকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, মারধর ও লুটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ ওই মামলার এজাহার নামীয় আসামী উপজেলার বড় মাছুয়া গ্রামের রুহুল আমিনের পুত্র বশির হাওলাদার (২০) ও প্রতিবেশী চর ভোলমারা গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র কবির খাঁকে (২২) গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) উপজেলার বড়মাছুয়া সংলগ্ন বলেশ্বর নদীতে সরকারি বোট ও ভাড়া করা ট্রলার নিয়ে কোষ্টগার্ডের একটি দল নিয়মিত টহলে বের হয়। ওই দিন কোস্টগার্ডের টহলদল স্থানীয় বড় মাছুয়া লঞ্চঘাট এলাকায় পৌঁছালে নদীতে প্রায় শতাধিক নিষিদ্ধ অবৈধ বেহেন্দী ও কারেন্ট জাল দেখতে পায়। কোষ্টগার্ড সদস্যরা ওই অবৈধ জাল আটক করতে গেলে জেলেরা কোষ্টগার্ড সদস্যদের বাধা দেয়। এক পর্যায় জেলেরা পাঁচটি ট্রলার যোগে ৮০ থেকে ৯০ জনের একটি দল তাদের ওপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় কোষ্টগার্ডের মাছুম হাওলাদর (৩৫), মো. সোহেল (২৭) ও মো. মাকসুদ (২৮) গুরুতর আহত হয়।
হামলাকারী জেলেরা সরকারি মামলামাল বহনকারী ট্রলারটিকে ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত তিন জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই দিন রাতে তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে স্থান্তর করেন।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আব্দুল্লাহ্ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটানয় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ব্যাপারে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।