রোশন পেশায় একটি এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু সুপারভাইজার। তাদের সম্পর্কের বয়স বেশি না হলেও দুজনেই পরস্পরের পরিবারের ঘনিষ্ঠ। আনন্দপুরে বিশাল ফ্ল্যাটে রোশন এবং নিজের মা-বাবার সঙ্গে দোলের উৎসব উদযাপনও করেছিলেন শ্রাবন্তী।

এর আগে গত সোমবার এনগেজমেন্ট হয়েছে তপসিয়ারই একটি বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয়। সেখানে রুপালি রঙের ওয়েস্টার্ন গাউনে সেজেছিলেন টালিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। অন্যদিকে হবু স্বামী রোশনের পরনে ছিল ব্লেজার-স্যুট।

এনগেজমেন্টে আমন্ত্রিত কোনো অতিথির সঙ্গে ফোন রাখার অনুমতি ছিল না। মেন্যুতে ছিল কন্টিনেন্টাল ও ভারতীয় খাবার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিয়ের গুঞ্জন শুরু হওয়ার আগে শ্রাবন্তীর শুটিংয়ে উপস্থিত থাকতেন রোশনের মা। তাকে রীতিমতো ‘মা’ বলেও সম্বোধন করতেন শ্রাবন্তী। সুতরাং চুপিসারে হলেও পরিবারের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতি বহুদিন ধরেই চলছিল বোঝাই যাচ্ছিল। 

এর আগে দুবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর। ২০০৩ সালে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে তার প্রথম বিয়ে হয়। সে সময় শোনা যায়, রাজীব নানাভাবে নির্যাতন করতেন শ্রাবন্তীকে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কও ছিল রাজীবের। সেই কারণেই বিচ্ছেদ হয়। ওই সংসারে ঝিনুক নামে শ্রাবন্তীর একটি ছেলে রয়েছে। তবে মায়ের সঙ্গেই থাকে ছেলে। এই বিয়েতে ছেলে ঝিনুকের সায় আছে বলেও জোনা গেছে। কারণ ছেলের অমতে শ্রাবন্তী বিয়ে করবেন না।

রাজীবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে শ্রাবন্তীর সম্পর্ক হয় মডেল কৃষণ ব্রজের সঙ্গে। মহাসমারোহে বিয়েও করেন তারা। তখন শোনা যাচ্ছিল, দুজনে একসঙ্গে ছবিও করবেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয় মনোমালিন্য। তার কারণ কেউই স্পষ্ট করে কিছু বলেননি শ্রাবন্তী।

গত জানুয়ারিতে কৃষণের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এই নায়িকার নামের সঙ্গে জড়িয়ে যায় রোশনের নাম।

রোশন সিং ওরফে মন্টি কেবিন ক্রু পাশপাশি একটি জিমের মালিকও মন্টি। পাঞ্জাবি পরিবারের ছেলে মন্টি আদতে চণ্ডীগড়ের হলেও কলকাতায় থাকেন পার্ক সার্কাস চত্বরে। কৃষনের সঙ্গে যখন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে সেই সময় মন্টির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় শ্রাবন্তীর। এরপর চুটিয়ে প্রেমে করেছেন দুজনে। অবশেষে সেই সম্পর্ক বিয়ে পযর্ত গড়ালো।