প্রধান মেনু

প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে ‘জলবায়ু দৈত্য’

বরিশাল প্রতিনিধি ।।
প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে বরিশাল নগর জুড়ে ঘুরে বেড়ালো এক জলবায়ু দৈত্য! আর সেই পুরোদস্তুর দৈত্য তৈরি হয়েছে নগরীর বিভিন্ন অভিজাত রেস্তোঁরার ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে।

সুইডিস কিশোরী ও জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের আহবানে বিশ্ব ব্যাপি চলমান বৈশ্বিক জলবায়ু কার্যক্রম সপ্তাহের অংশ হিসেবে এই জলবায়ু দৈত্য তৈরি করে জণগনের মধ্যে প্লাস্টিক বোতলের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরতে এ উদ্যোগ নিয়েছে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় একটি পিকআপ ভ্যানে করে জলবায়ু দৈত্যটি পরিভ্রমনে বের হয়ে বরিশাল নগর ভবন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, অশ্বিনী কুমার হলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় তরুণ জলবায়ুকর্মীরা জলবায়ু ন্যয্যতার দাবিতে এবং প্লাস্টিক বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকে। অভিনব ‘জলবায়ু দৈত্য’ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট, একশনএইড বাংলাদেশ ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল।

ব্যাতিক্রমী এ উদ্যোগে নগরবাসীর মধ্যে এক ধরনের কৌতুহল সৃষ্টি হলে তরুণ উদ্যোক্তারা প্লাস্টিক দুষণ বিশেষ করে মাইক্রো প্লাস্টিকের বিধ্বংসী প্রভাব সমবেত জণগণের মধ্যে তুলে ধরেন।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সংগঠক সোহানুর রহমান জানান, প্লাস্টিক দূষণের কারনেও জলবায়ু পরিবর্তিত হয়ে সংকটে রুপ নিচ্ছে।

ফলে প্রতিবেশগত চক্রে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি এর অণুও খাদ্য ও পানীয়ের সঙ্গে মানবদেহে গিয়ে মরণব্যাধি সৃষ্টি করছে। প্লাস্টিকের বোতলের ব্যবহার হ্রাস করার পাশাপাশি জরুরি পুনর্চক্রায়ন (রিসাইক্লিং) নিশ্চিত করা জরুরী।

অন্যথায় ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়া প্লাাস্টিক বোতলের দৈত্য আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সবাই সক্রিয় ও সচেতন হলে প্লাস্টিক বোতলের দৈত্যকে পরাস্ত করা কঠিন হতে পারে না। এক্ষেত্রে তরুণ সমাজকে আরো এগিয়ে আশার পাশপাশি খাদ্যাভাস ও জীবন প্রণালীও পরির্বন করতে হবে বলে জানান তিনি।
কর্মসূচিতে অংশ নেয়া বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্টের চেয়ারপার্সন আমিনুল ইসলাম ফিরোজ মোস্তফা বলেন, পৃথিবীর জলবায়ু সুরক্ষা এবং আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে প্লাস্টিকের ব্যবহার না কমিয়ে কোন উপায় নেই। বিলম্বে হলেও সচেতনতা ও সক্রিয়তার সময় এসেছে। প্লাস্টিকের বিকল্প জিনিষের ব্যবহার বাড়াতে আমাদের ব্যাক্তিগত উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপুর্ন।

এছাড়া প্লাস্টিককে একবার ব্যবহার করেই ফেলা দেয়া রোধে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে বলে তিনি মনে করেন।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*