প্রধান মেনু

দুর্নীতির মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান কারাগারে

আলোরকোল ডেস্ক।।

দুর্নীতির মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও সাবেক পৌরসচিব রেজাউল করিমকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে আসামিরা বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। দীর্ঘ শুনানিশেষে বিচারক মো. রবিউল ইসলাম তাঁদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সোয়া ৩টার দিকে তাদের পুলিশি পাহারায় বাগেরহাট জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

এদিকে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার খবরে তার সমর্থকরা বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়ক তাৎক্ষণিকভাবে অবরোধ করে। অবরোধ চলাকালে প্রায় আধাঘণ্টা ওই সড়কে সবধরনের যান চলচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ ফিরোজ টিপু জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং সাবেক সচিব রেজাউল করিম জেলা জজ আদালতে হাজির হওয়ার পর জামিনের প্রার্থনা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত দুজনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এখন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই দুজনকে জামিনের মুক্ত কর হবে। শারীরিকভাবে অসুস্থতার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত খান হাবিবুর রহমানকে ডিভিশনসহ প্রযোজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন বলে তিনি জানান।

বাগেরহাট দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মিলন কুমার ব্যানার্জী জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে মেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং সাবেক সচিব রেজাউল করিম জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত দুজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের দায়েরকৃত মামলায় জানা যায়, অবৈধ নিয়োগ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও সাবেক পৌরসচিব রেজাউল করিমের নামে গত বছরের ২৫ নভেম্বর মামলা করে দুদক। খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন।

এর আগে ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের দুর্নীতি অনুসন্ধানে নামে দুদকের খুলনা কার্যালয়।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, বাগেরহাট পৌরসভার নিয়মবহির্ভূতভাবে ১৭ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজর ৮০০ টাকা আত্মসাতের অপরাধে মেয়রসহ ১৮ জনকে আসামি করে একটি মামরা করা হয়।

অপরদিকে বাগেরহাট আবাহনী ক্রীড়া চক্রের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ এবং বাগেরহাট ডায়বেটিক হাসপাতালের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করে এক কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে পৌরমেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং সাবেক পৌরসচিব রেজাউল করিমকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*