প্রধান মেনু

থামছেনা সুন্দরবনের মায়াবী হরিন হত্যা ! বনরক্ষীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ….?

রিপোর্ট আলোরকোল ।।

চলোমান করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশ যখন লকডাউনের ফাদে তখন পুর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কিছু অসাধু বন কর্মকর্তা ও কর্মচারির সহযোগীতায় চোরা শিকারীরা বনের  মায়াবী চিত্রল হরিন নিধনেমেতে উঠেছে।

তথ্য অনুসন্ধানে  জানাযায়, জেলে সেজে মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে  বনে প্রবেশ করে  প্রতিনিয়ত বন্যপ্রানী হত্যা করছে চোরা  শিকারীচক্র ।  বনবিভাগের  কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা -কর্মচারীরা কৌশল করে  চোরা শেকারীদের  কাকড়া  ও মাছের  পাশ (অনুমতি ) দিয়ে বনে প্রবেশ করার সুযোগ  তৈরি করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে ।

 ফলে চোরােশিকারীরা ফাঁদ পেতে হরিন শিকার করে তারা   মাত্র ৬/৭শ টাকা দরে অবাধে মাংশ বিক্রি করছে। কখনো জীবিত হরিনও পাচার করে দেয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সোবলে সারা দেশ যখন লক ডাউনের শিকলে বন্ধি বনের প্রতি বনবিভাগের নজরদারী যখন অনেকটা শিথিল সেই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে দূর্নীতিবাজ বনরক্ষী ও চোরা শিকারীরা।

গত ১ মাসে হরিণ পাচারের অন্তত ১০ টি ঘটনার সংবাদ পাওয়া গেছে। গত ৪ এপ্রিল সোমবার রাতে বনের টিয়ার চর এলাকায় পাচারের অপেক্ষায় থাকা ২২  টি  হরিণ উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়। এসময় ৩০ কেজি মাংশ ও তিন শিকারীকেও আটক করা হয়। গত ২ মে কচিখালীর টিয়ার চর থেকে ১২ শ হরিন ধরার ফাদ ও দুই শিকারীকে আটক করে বনবিভাগ।

এসময় সুন্দরবন থেকে পাচার হয়ে যাওয়া ২ টি মায়াবী চিত্রল হরিন মঠবাড়িয়া থেকে উদ্ধার করা হয়। একই দিনে সোনাতলা গ্রাম থেকে ১৫ কেজি হরিনের মাংশ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।এদের মাঝে বার্কিং ডিয়ার নামের একটি বিলুপ্ত প্রজাতির হরিন রয়েছে।

কিন্তু  গত এক মাস ধরে সুন্দরবনে হরিন শিকার অনেকটাই বেড়ে গেছে।  বনরক্ষিরা শরনখোলা সহ পার্শ্ববর্তি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে দুটি মাদী হরিন ( স্ত্রী) জীবিত উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করেন।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়,এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে বনের চান্দেশ্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বন রক্ষিরা বিপুল পরিমান হরিন ধরার ফাদ উদ্ধার করেন।সম্প্রতি বনের কচিখালী থেকেও ব্যাপক সংখ্যক হরিন শিকারের ফাদ উদ্ধার করা হয়।
সুন্দর বনের মৎস্য ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন শেলু জানান,করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এবং পাশ- পার্মীট চালু না হলে সুন্দর বনের হরিন শিকার আরও বেড়ে যেতে পারে। স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মুন্সী জানান, চলোমান অবস্থায় বনজীবীদের মাঝে নিয়োমিত খাদ্যসহায়তা সরবরাহ করলে হরিন শিকারে নিরুৎসাহীত হতে পারে শিকারীরা।
 এসিএফ জয়নুল আবেদীন বলেন, সুযোগ সন্ধানী শিকারী চক্র সুন্দরবনে ঢুকে হরিন শিকারে তৎপর রয়েছে। তবে বনবিভাগের টহল জোরদার করা হয়েছে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*