নির্বাচনীয় মৌসুমে ভারতে শুটিং করতে পারছেন না
অতঃপর দেশে ফিরছেন নায়ক ফেরদৌস
আলোরকোল ডেস্ক ।।
বাংলাদেশি চিত্রনায়ক ফেরদৌস দেশে ফিরছেন ।তিনি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভারতের জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়া । মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে একটি সূত্র।
এর আগে, নির্বাচনী প্রচারণায় তার অংশগ্রহণ সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন তাকে দেশে ফিরে আসার পরামর্শ দেন।
তবে, ফেরদৌসকে ভারতে প্রবেশে তেমন কোনো কড়াকড়ি আরোপ করা হয়নি। ভারতে তিনি শুটিং করতে পারবেন। তবে তা নির্বাচনীয় মৌসুম শেষ হবার পরে। অর্থাৎ নির্বাচনীয় মৌসুমে ভারতে আর শুটিং করতে পারছেন না ফেরদৌস।
বাংলাদেশ মিশনের এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচনী মৌসুম শেষ হওয়ার পর সেখানে তাকে সিনেমার শুটিং করার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ফেরদৌস আমাদের বলেছেন, তিনি সেখানে শুটিংয়ের উদ্দেশে ছিলেন এবং চলমান লোকসভার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু বিদেশি নাগরিক হিসেবে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়া ঠিক নয়। এ জন্য তাকে দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জে কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে একটি রোডশো করেন ফেরদৌস। সঙ্গে ছিলেন টলিউডের নায়ক অঙ্কুশ ও নায়িকা পায়েল। তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানান এই বাংলাদেশি তারকা।
অন্য দেশের নাগরিক তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছে; ফেরদৌস সম্পর্কে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রিজিওনাল ফরেইনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিসের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন চেয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা জেপি মজুমদার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে বলেছেন, ভারতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিদেশি অংশ নিতে পারেন না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস একজন বাংলাদেশিকে ব্যবহার করে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছে। এছাড়া ভিসা-সংক্রান্ত আইন না মানায় তাকে (ফেরদৌস) গ্রেফতার করা উচিত।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারের এমন কৌশল আগে কখনো দেখিনি। কাল হয়তো ইমরান খানকেও (পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী) প্রচারে ডাকবে তৃণমূল। ভোট কম পড়লে রোহিঙ্গাদেরও ডেকে আনতে পারেন তিনি।
তার প্রশ্ন, ভারতের একটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারে এভাবে বিদেশি তারকা আসতে পারেন? তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আইন মানেন না; আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।