শরণখোলায় পাওনা টাকা আদায় করতে বৃদ্ধকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন
আলোরকোল ডেস্ক ।।
পাওনা টাকা আদায় করতে পায়ে শিকল বেঁধে এক বৃদ্ধার উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি ওই বৃদ্ধার দাড়ির কিছু অংশ টেনে উপড়ে ফেলা হয়েছে। রোববার দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলায় আওয়ামীলীগ নেতা কামাল বয়াতীর নেতৃত্বে এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়দের সুত্র জানায়, উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃতঃ গনি খানের ছেলে মোঃ ইসমাইল খান (৬০) একই উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা মৃতঃ মেছের আলী বয়াতীর ছেলে ও ৪ নং খাদা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন বয়াতীর সাথে কাঠের ব্যবসা শুরু করেন।
এতে ইসমাইলের কাছে কামাল বয়াতীর ২০ হাজার টাকা বাকী পড়ে । উক্ত টাকা নিয়ে উভয়ের মধ্যে ভুল বোজাবুঝির সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি উক্ত টাকার জন্য ইসমাইকে কামাল ও তার সহযোগীরা বৈঠকের কথা বলে তার বাড়ী থেকে বাংলাবাজার এলাকায় ডেকে আনেন। এক পর্যায়ে ওই বাজারে জন সম্মুখে কামালের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা ইসমাইলকে ব্যাপক মারপিট করে এবং তার দাড়ির কিছু অংশ তুলে নেয়। পরে আহত ইসমাইলের পায়ে শিকল দিয়ে দোকান ঘরের খুটির সাথে দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বেঁধে রাখে। বিষয়টি এলাকায় জানা-জানি হলে কামাল বয়াতীর বসত বাড়ি একটি কক্ষে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্ধী করে রাখার খবর পাওয়া গেছে । এঘটনায় ইসমাইলের পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্দেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে ।
স্থানীয় বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সামান্য কিছু টাকার জন্য বৃদ্ধা ওই ব্যাক্তিকে মারপিট ও শিকল দিয়ে বেধে রাখার ঘটনার আমরা প্রতিবাদ করি। কিন্তু কামাল বয়াতী আমাদের কথার তোয়াক্কা না করে টাকা আদায়ের নামে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত নির্যাতন করতে থাকে।
বন্ধী ইসমাইল বলেন ,পাওনা টাকার ৭হাজার পরিশোধ করলেও আমাকে এপর্যন্ত মুক্তি দেয়নি । আমার কাছ থেকে জোর করে সাদা কাগজে একাধিক স্বাক্ষর নিয়েছে । আমাকে একটু দয়া করে বাঁচান ।
কামাল বয়াতী বলেন , ৪/৫ বছর পূর্বের পাওনা টাকা না দেয়ায় আমি কৌশলে ইসমাইলকে ধরে এনে শিকল দিয়ে বেধে রাখি । টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত ছাড়া হবে না । শরণখোলা থানা আফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার সরকার জানান ,বিষয়টি শুনেছি। তবে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশের একটি টিম বাংলাবাজার এলাকায় পাঠিয়েছি ।