প্রধান মেনু

আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা

শরণখোলায় শিক্ষকের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা

শরণখোলা প্রতিনিধি ।।

বাগেরহাটের শরণখোলায় আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে এক স্কুল শিক্ষকের সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ এপ্রিল (সোমবার) গভীর রাতে উপজেলার রতিয়া রাজাপুর গ্রামে।

ওই সময় দু-গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ গৃহবধু আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে শরণখোলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।  আহতদের (মঙ্গলবার) সকালে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রতিয়া রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও রায়েন্দা সরকারী পাইলট হ্ইা স্কুলের সহকারী শিক্ষক আঃ হালিম অভিযোগ করে বলেন, তিনি ২০০৪ সালে স্থানীয় বাসিন্দা আঃ হাকিম, আঃ জলিল ও শহিদুল ইসলামের নিকট থেকে ২ নং রাজাপুর মৌজার ৬৪৯ নং খতিয়ানের ২২৯৫, ২২৯৬ দাগের ৬.৭৫ একর সম্পত্তি কবলা সুত্রে ক্রয় করে শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগ দখল করে আসছেন।

কিন্তু তার প্রতিবেশী শাহ আলমের স্ত্রী শাহিনুর পারভীন ২০১৩ সালে উক্ত মালিকদের নিকট থেকে কিছু সম্পত্তি ক্রয় করেন। সেই সম্পত্তি সম্পূর্ন বুঝে না পাওয়ায় তার ভোগ দখলীয় প্রায় ৮ লাখ টাকার সম্পত্তি জবর দখলের জন্য স্থানীয় মটর সাইকেল চালক সরোয়ার আকনের নেতৃত্বে পারভীন সহ একটি কু-চক্রী মহল ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে চলতি বছরে ৩ মার্চ বাগেরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সম্প্রতি ওই স্থানে (১৪৪ ধারা) নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। কিন্তু সোমবার গভীর রাতে পারভীন ও সরোয়ার সহ ১০/১২ জনের একটি ভাড়াটিয়া যুবকের দল হালিমের উক্ত সম্পত্তিতে থাকা নির্মানাধীন দোকান ঘর ভাংচুর শুরু করেন। এ সময় তার পরিবারের লোকজন বাঁধা দিলে দু-পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়।

এতে হালিমের বোন রেহানা বেগম (৩০) ও হেলেনা বেগম (২৮) এবং শাহিনুর পারভীন (৩৫) আহত হন। খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ব্যাপারে বিক্রয়কৃত সম্পত্তির পূর্বের মালিকরা সহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রামবাসীদের অনেকে বলেন, হালিম বৈধ ভাবে তার ক্রয়কৃত জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। উক্ত জমিতে পারভীনের কোন অংশ নেই। কাগজপত্র না বুঝে প্রতিপক্ষরা হালিমের সম্পত্তি জবর দখল করতে চাইছেন। এছাড়া বিষয়টি আদালত, থানা পুলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ আকারে বিচারাধীন রয়েছে। বিষয়টি ফয়সালা না হওয়ার পূর্বেই রাতে দোকান ঘর ভাংচুর করা ঠিক হয়নি। তবে শাহিনুর পারভীন দাবী করেন, তিনি কোন দল বল নিয়ে কারও কোন ঘর ভাংচুর করেননি।

হালিম গভীর রাতে বিবাদমান ওই সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মান কাজ শুরু করলে তিনি বাঁধা দেন মাত্র। এতে হালিম ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ব্যাপক মারপিট করেছেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তিনি প্রানে রক্ষা পেয়েছেন। এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*