প্রধান মেনু

কোটি টাকা চাঁদার দাবীতে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে

মোংলা বন্দরের এক ব্যবসায়ীকে হুমকি, থানায় মামলা

মোংলা প্রতিনিধি ।।
অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোংলা বন্দরের এক ব্যবসায়ীকে  চাঁদা দাবী করেছে একটি  চক্র।

ওই চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা রফিকুল ইসলাম বাবলুর নামে রয়েছে  বিভিন্ন সময়  চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু নতুন করে আরও এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে বাবলু বন্দর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস নুরু এন্ড সন্স কোং ’র ম্যানেজারকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
মের্সাস নুরু এন্ড সন্স কোং এর ম্যানেজার সাধন কুমার চক্রবর্তী বাবলুকে আসামী করে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোংলা থানার ওসি মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস নুরু এন্ড সন্স কোং এর মালিক এইচ এম দুলাল তার ব্যবসা-বাণিজ্য ইতিমধ্যে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তিনি এরই মধ্যে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন ব্যবসা করে সুনামও অর্জন করেছেন। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীরা তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে।

সম্প্রতি এইচ এম দুলাল মোংলা বন্দর জেটির সম্মুখভাগ থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার নদী খননের আর্ন্তজাতিক ভারতীও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায়তীকুশাল সি ঈগল ড্রেজিং জেভি’র সাথে ফুয়েল (জালানী তেল) সরবরাহে চুক্তিবদ্ধ হয়।

এরপর চুক্তি অনুযায়ী  তেলও সরবরাহ করেন এইচ এম দুলাল। কিন্তু তেল সরবরাহের মূল্য হিসেবে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায়তীকুশাল সি ঈগল ড্রেজিং জেভি’র কাছে মেসার্স নুরু এন্ড সন্স কোং এর মালিক এইচ এম দুলাল প্রায় ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা পাওনা হন।

এরই মধ্যে পাওনা টাকার ৩৬ লাখ ২২ হাজার ৮০০ এবং ১ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক দেয় প্রায়তীকুশাল সি ঈগল ড্রেজিং জেভি। কিন্তু ওই চেকের টাকা ছাড় করাতে বাঁধা হয়ে দাড়ায় প্রায়তীকুশাল সি ঈগল ড্রেজিং জেভি’র (ডিসিআই) বাংলাদেশের স্থানীয় এজেন্ট খুলনাস্থ সিগমা শিপিং লাইন্সের মালিক রফিকুল ইসলাম বাবলু।

সে ওই টাকা ছাড় করাতে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে বলে মোংলা থানায় রুজু করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

কিন্তু চাঁদার ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় মের্সাস নুরু এন্ড সন্স কোং এর মালিক এইচ এম দুলাল।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৬ আগষ্ট প্রকাশ্যে মোংলা বন্দরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিং চত্বর এলাকায় মের্সাস নুরু এন্ড সন্স কোং এর ম্যানেজার সাধন কুমার চক্রবর্তীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে বাবলুসহ তার বাহিনী।

এ সময় সাধনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে বাবলু তার বাহিনী নিয়ে সটকে পড়ে।

পরে মেসার্স নুরু এন্ড সন্স কোং এর ম্যানেজার সাধন কুমার চক্রবর্তী এ ঘটনায় বাগেরহাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৩ সেপ্টেস্বর রফিকুল ইসলাম বাবলুকে আসামী করে চাঁদাবাজীর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

আদালত অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে মোংলা থানা পুর্লিশকে নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে মোংলা থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে বলে জানিয়েছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী। এদিকে চাঁদাবাজীর এ মামলা রেকর্ড হলেও মামলার আসামী বাবলু গা ঢাকা দিয়েছে।

ওসি অবশ্য দাবী করেছেন আসামী বাবলুকে আটকের পুলিশের তৎপরতা চলছে।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বাবলুর বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে (০১৬১৩ ৩৬৩৫৩৫) যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

 






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*