প্রধান মেনু

মঠবাড়িয়ায় প্রাইম সোশ্যাল অর্গানাইজেশনে গ্রাহকের সঞ্চিত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রাইম সোস্যাল অর্গানাইজেশন নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দেড় শত গ্রাহকের জমাকৃত সঞ্চয় ও ফিক্সড ডিপোজিটের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগি গ্রাহকগণ ওই অর্থ ফেরত চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাব সম্মুখ সড়কে সঞ্চয় ও ফিক্সড ডিপোজিটের প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে।

পরে তারা মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন, গ্রাহক মরিয়ম বেগম, শহীদুল ইসলাম, সোনিয়া বেগম ও রাহিলা বেগম প্রমূখ।
ভূক্তভোগি অভিযোগ করেন, প্রাইম সোস্যাল অর্গানাইজেশন এর নির্বাহী পরিচালক, সভাপতি ও ম্যানেজার মো. নাসির উদ্দিন অধিক মুনাফার প্রলোভন দিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা উত্তোলন করেন। গ্রাহকরা অর্থ জমার দেয়ার পর কয়েক মাস লাভের টাকা গ্রাহকদের পরিশোধ করলেও ২০১৯ সালের শুরু থেকে হঠাৎ মুনাফার টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয় সংস্থাটি। এছাড়া অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। গ্রাহকরা সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকের মুঠো ফোনে বারবার ফোন দিলেও তিনি গ্রাহকের ফোন রিসিভ করছেন না। এতে গ্রাহরা চরম হতাশার মধ্যে পড়েন।

ভুক্তভোগি গ্রাহক পৌর শহরের বৃদ্ধা হাজেরা বেগম (যার প্রাইম সোসাল অর্গানাইজেশন এর সঞ্চয়ী হিসাব নং ১২১১৫০০১০৭৪) অভিযোগ করেন, তিনি মাসিক প্রতি ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা মুনাফা লাভের আশায় ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ২ লাখ টাকা সংস্থায় জমা রাখেন। কিন্তু ২০১৮ সাল পর্যন্ত মুনাফার টাকা তিনি নিয়মিত পেলেও গত দেড় বছর ধরে তিনি মুনাফা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।

ভূক্তভোগি সংস্থায় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ও গ্রাহক তানিয়া রানী (পিএসও হিসাব নং- ১২১১৫০০১০৭১) জানান, ওই সংস্থায় ডিপোজিট রাখা ৪ লাখ ও ডিপিএস ৫০ হাজার টাকার লাভ ও আসল টাকা কোন কিছুই তিনি পাচ্ছেন না। এমনকি গত এক বছর ধরে বেতনাদি না পাওয়ায় আমি মানবেতর জীবন যাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, ওই সংস্থায় টাকা জমা রাখায় কোন মুনাফা না পাওয়ার কারনে মিশর প্রবাসী স্বামী মিজানুর রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে সম্প্রতি তাকে ডাকযোগে তালাক পাঠিয়েছেন।

মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই সংস্থার বিনিয়োগ অফিসার ফাতিমা আক্তার অবিযোগ করেন,ওই সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নাছির উদ্দিন নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তার স্ত্রী শামীমা সুলতানা রোজীকে সাধারণ সম্পাদক ও পরিদর্শক পদে নিয়োগ দেন। পরে তাদের খামখেয়ালীপনা অনিয়ম, দুর্ণীতি ও গ্রাহকদের টাকা উত্তোলন করে তছরুপ করে সংস্থার দুই কর্মকর্তা ইয়াসিন ও আল আমিনের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।

এ বিষয়ে সংস্থার পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনীত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে বলেন, সংস্থার ম্যানেজার মো. ইয়াসীন ও ক্যাশ অফিসার আল আমীন মিলে গ্রাহকের সঞ্চয়ের অর্থ হাতিয়ে কোনও হিসাব না দিয়ে অফিসে আসা বন্ধ কওে দিয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারন ডায়রি করা হয়েছে।

ইসরাত জাহান মমতাজ






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*