প্রধান মেনু

বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারে জলদস্যুর হামলা মুক্তিপণের দাবীতে দুই মাঝি অপহরণ

আলোরকোল ডেস্ক।।
বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুরা শরণখোলার দুইটি ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি ও লুটপাট চালিয়েছে। ১৯ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী কঁচিখালি এলাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিনে গাংঙ্গের আইন এলাকায় সাগরের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জলদস্যুরা জেলেদের মারপিট শেষে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপনের দাবিতে দুই মাঝিকে অপহরন করে। এঘটনায় বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত জেলেদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ফিরে আসা জেলেরা জানায়, গত এক সপ্তাহ আগে রাজৈর মৎস্য অরতরণ কেন্দ্র হতে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে শরনখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেসার্স শাওন ফিশিং ট্রলার ও নলবুনিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের আট ভাই ফিশিং ট্রলারে সাগরে যায় জেলেরা। ১৯ নভেম্বর রাতে সাগরে মাছ ধরারত অবস্থায় জলদস্যু রাজু বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ৮/১০ জনের সশস্ত্র একটি দল হামলা ও লুটপাট চালায়।
এ সময় ওই ট্রলারে থাকা মাছ, ডিজেল, গ্যাস সিলিন্ডার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা সহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। জলদস্যুদের হামলায় আমিনুল ইসলাম (৪৫). মেহেদী (২২), আল-আমিন (৪০) রফিকুল ইসলাম (৪৫), শাহাদাত হোসেন (৫০), মহিদুল (৩৫), মতি হাওলাদার (৫০) ও বশির ফরাজী (৩৫) আহত হয়।
লুটপাট শেষে মেসার্স শাওন ট্রলারের মাঝি উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল খাঁনের পূত্র জাকির খাঁন (৫০) ও আট ভাই ফিসিং ট্রলারের মাঝি উত্তর রাজাপুর গ্রামের আঃ লতিফ হাওলাদারের পূত্র মোঃ লোকমান হাওলাদার (৬০) কে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে। পরে প্রত্যেককে জীবিত ফেরত আনতে তিন লাখ টাকা করে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে জলদস্যুরা।

মেসার্স আট ভাই ফিশিং ট্রলারের মালিক মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, লিখিতভাবে বিষয়টি থানায় অবহিত করা হবে এবং অপহৃত মাঝিদের উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে, খোঁজ খবর নেয়া হবে।

শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান জানান, আট ভাই ফিশিং ট্রলারের মালিক মোঃ আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তবে, এ বিষয়ে আরো খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*