প্রধান মেনু

দূর্নীতি দমন কমিশনে বাগেরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

 মাসুম হাওলাদার।।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে শেয়ারে ব্যবসা, পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে নিয়ম ভঙ্গ, দরপত্রের মূল্যায়ণ নীতি পরিবর্তণ, সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বিল কম দেওয়া, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে এক ঠিকাদার।

১৯ আগস্ট ঢাকার মিরপুর এলাকার শেওড়াপাড়া শামীম স্বরনীর ঠিকাদার এম আহম্মেদ নামের ওই ঠিকাদার এ অভিযোগ করেন। ওই ঠিকাদার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রীর একান্ত সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিবের একান্ত সচিব ও দুদকের খুলনা বিভাগের পরিচালককেও ওই অভিযোগের অনুলিপি দেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহমেদ ২০১১ থেকে এখন পর্যন্ত বাগেরহাটে কর্মরত রয়েছেন। এসময় তিনি সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দূর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জণ করেছেন।

সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তিনি সরকারি গাড়ি তার পারিবারিক কাজে খুলনাতে ব্যবহার করেন। খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় তার দূর্নীতির টাকায় নির্মিত ৬তলা ভবন রয়েছে। কোন দরপত্র আহবান করার আগে তিনি এমন ভাবে শর্তাবলী নির্ধারণ করতেন যাতে তার পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পায়।

এসব ক্ষেত্রে প্রচলিত কোন নিয়ম তিনি অনুসরণ করতেন না। কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ দিতে দপ্তরের অনুমোদিত হার (রেট) থেকে কিঞ্চিত কমে তার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানকে কাজ প্রদান করতেন। এক্ষেত্রে তিনি শতভাগ রেট এর মিল রাখতেন না, যার ফলে তার বিরুদ্ধে কেউ দর ফাসের অভিযোগ করতে পারতেন না।

ওই অভিযোগে তিনি আরও বলেন, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শামীম আহমেদ গোপালগঞ্জের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মনি ট্রেডার্সের সাথে শেয়ারে ব্যবসা করেন। পৌর পানি সরবরাহ প্রকল্পের ৫০ কোটি টাকার কাজের মধ্যে ৪০ কোটি টাকার কাজ তার শেয়ারের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করেন। তার দায়িত্ব পালনের সময়কারের দরপত্রগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, একই নোটিশের বিভিন্ন গ্রুপের দরপত্র ড্রপ ও খোলার সময় আলাদা আলাদা ভাবে নির্ধারণ করা হয়।

যাতে টেলিফোনের মাধ্যমে সমঝোতা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া যায়। তিনি দরপত্র ওপেন করে অন্য কম্পিউটারে শেয়ার করেন না, যার ফলে অংশগ্রহনকারী ঠিকাদাররা দরপত্র রেট দেখতে পারেন না। এছাড়া তিনি অনেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সর্বনিন্ম দরে কাজ না দেওয়ার অভিযোগ করেন নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।

ওই অভিযোগে আরও দেখা যায়, পুকুর খনন প্রকল্পে ৩য় পক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়মনীতি অনুসরণ না করে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার ইমরান হোসেনের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে ৩য় পক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এক্ষেত্রে ইমরানের সাথে যোগসাযগে তিনি অনেক দূর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। ওয়াশ ব্লক ও আনুসাঙ্গিক নির্মান কাজের দরপত্র ও কাজের বিষয়ে তদন্ত করলে আরও অনেক দূর্নীতি বেড়িয়ে আসবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকশৌলী এসএম শামীম আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে দুদকে কোন দরখাস্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমি কোন অন্যায় করিনি।

তারপরও কেউ যদি অভিযোগ করে থাকে দুদক আমার কাছে জানতে চাইলে আমি অফিসিয়ালি জবাব দিব। শহরে বিভিন্ন অফিসে আলোচনা উঠেছে যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকশৌলী এসএম শামীম আহমেদ এ বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এর রিপোট না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।এবং ফোন দিলে চা খাওয়ার দাওয়াত দেন নির্বাহী প্রকশৌলী এসএম শামীম আহমেদ।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*