প্রধান মেনু

তিন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পে দূর্নীতি

আলোরকোল ডেস্ক ।।

খুলনা-মোংলা নির্মানাধীন রেললাইন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের আওতাভুক্ত ভূমি, ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষতিপূরণে ঘুষ ও দূর্নীতির অভিযোগে তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কাছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মাকছুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত পাঠানো চিঠি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

সাময়িক ভাবে বরখাস্তকৃত কর্মকতারা হলেন, বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এল এ শাখার অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা নিত্য গোপাল ও কানুনগো সুব্রত সরদার এবং তৎকালীন সার্ভেয়ার বর্তমানে রামপাল উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত সার্ভেয়ার কামাল হোসেন।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এই তিন কর্মকর্তাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মাকছুদুর রহমান সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। বরখাস্ত আদেশের ঠিক এক মাস পর বৃহষ্পতিবার রাতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তিনটি চিঠি বাগেরহাটে কর্মরত সাংবাদিকদের হাতে পৌছায়। তবে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কোন কর্মকর্তা এবিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, খুলনা-মোংলা নির্মানাধীন রেললাইন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে এই তিন কর্মকর্তা পরষ্পর পরষ্পরের যোগসাজসে ঘুষ গ্রহণের বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ প্রদান, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ না দেয়া, অধিগ্রহণের আওতাভূক্ত নয় এমন ভূমি এবং ভূয়া ভূমি মালিক সাজিয়ে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া, একই দাগের ভূমির ক্ষতিপূরণ একাধিকবার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

তারা এই প্রকল্পে অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন যাতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান। তাই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ১২ অনুযায়ি এই তিন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিগত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে সরকার খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মানের প্রকল্প হাতে নেয়। খুলনা-মোংলা নির্মানাধীন রেললাইন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এরমধ্যে রেললাইনে ব্যয় হবে এক হাজার ১৪৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, ব্রিজের জন্য এক হাজার ৭৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ও জমি অধিগ্রহণে এক হাজার আট কোটি টাকা।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*