প্রধান মেনু

প্রশাসন মুচলেকা নিয়েও বন্ধ করতে পারেনি বাল্য বিয়ে!

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৮ম শ্রেণি পুড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজনকালে বিয়ের গেট ভেঙ্গে পন্ড করার পর প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দেয় দুই পরিবার। পরে ওই মুচলেকা উপেক্ষা করে ঘটনার দিন রাতেই গোপনে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে স্কুল ছাত্রীকে বর পক্ষের বাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। ফলে প্রশাসন এ বাল্য বিয়ে কার্যত ঠেকাতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার দিন গত রাতে উপজেলা দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামে এঘটনা ঘঠে। বিষয়টি স্থানীয়রা প্রশাসনকে অবহিত করলেও আজ শুক্রবার পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি। এতে স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের মো. পারভেজ ইলিয়াসের মেয়ে ও স্থানীয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান মিম (১৩) এর সাথে পশ্চিম রাজপাড়া গ্রামের মো. আবদুল খালেক হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন লিমনের (৩০) বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। ওই দিন দুপুরে বরের ভগ্নীপতি সেনা সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মেহমান গাড়ী বহর নিয়ে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়।

এসময় বর পক্ষসহ কনের বাড়িতে মেহমান হিসেবে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, প্রশাসনের লোকসহ তিন শতাধিক লোক বিয়ের আয়োজন শেষে খাওদাওয়া শুরু করে। এসময় বাল্য বিয়ের বিষয়টি স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. বশির আহমেদ বিষয়টি অহিত হন।

পরে তার নির্দেশে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তারের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মি ইসরাত জাহান মমতাজ কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশের সহযোগীতায় কনে বাড়ির বিয়ের গেট ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেনের উপস্থিতিতে কণের উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত দাম্পত্ত সম্পর্ক স্থাপন করবেনা মর্মে বর দেলোয়ার হোসেন লিমন মুচলেকা দিয়ে বর পক্ষ বিয়ে বাড়ি ত্যাগ করেন।

পরে প্রশাসনের লোকজন কনের বাড়ি থেকে চলে আসার পর ওই দিন রাতে বর পক্ষ পুনরায় কনের বাড়ি এসে কনে পক্ষের সম্মতিতে বর পক্ষ কনেকে নিয়ে চলে যায়। বিষয়টি স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. বশির আহম্মেদ বলেন, মুচলেকা দেয়ার পরও বর ওই কিশোরীকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এবিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইসরাত জাহান মমতাজ
মঠবাড়িয়া  পিরোজপুর






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*