কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের ১৯৩ তম জামাত হচ্ছে না
আলোরকোল ডেস্ক ।।
বহু বছর ধরে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। ২০০ বছরের ইতিহাসে কোনোদিন কোনো দুর্যোগে বন্ধ থাকেনি এই ঈদের জামাত। ২০১৬ সালে মাঠের অদূরে জঙ্গী হামলার পরও মুখরিত ছিল শোলাকিয়া।
সেদিনও হয়েছে ঈদের জামাত। তবে এবার শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের ১৯৩তম জামাত হচ্ছে না। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে এবারের জামাত আয়োজন করেনি সংশ্লিষ্টরা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে মুসল্লিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন লাখো মানুষ শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করেন।
এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করা কঠিন বিষয়। মুসুল্লিদের জীবনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শোলাকিয়ার ঈদের জামাত বন্ধ রাখা হয়েছে। এর পরিবর্তে সবাইকে মসজিদে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে নামাজ আয়োজন করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
প্রতি বছর এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করেন শোলাকিয়ার বাসিন্দা মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, মনে আক্ষেপ থাকলেও প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই আমি। কারণ বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে আসেন এখানে। বিপুল জমায়েতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে। এ ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না।
কিশোরগঞ্জ শহরের উত্তর-পূর্বকোণে নরসুন্দা নদীর পাশে শোলাকিয়া এলাকাটির অবস্থান। জনশ্রুতি রয়েছে, শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রথম বড় জামায়াতে সোয়া লাখ মুসুল্লী অংশ নিয়েছিলেন। উচ্চারণ বিবর্তনে সোয়ালাখ থেকে সোয়ালাখিয়া, সেখান থেকে বর্তমান শোলাকিয়া নামটিই বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।