ফকিরহাটে ইউএনওর হস্তক্ষেপে উৎকোচের টাকা ফেরৎ পেল ভাতা ভোগীরা
এম.পলাশ শরীফ।।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ৮ নং শুভদিয়া ইউনিয়নে বয়স্ক,বিধাব ও প্রতিবন্ধি ভাতাভোগীদের নিকট থেকে বিভিন্ন খাতে খরচের কথা বলে উৎকোচ নেওয়া টাকা ফেরত পেল অসহায় ভাতা ভোগীরা।
আর এই উৎকোচ নেয়ার অভিযোগে সুভাষ মন্ডল (৫০) নামের এক ব্যাক্তিকে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।সোমবার বেলা ১১টায় ভ্রাম্যমান আদালতের একটি দল ৮নংশুভদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাতে-নাতে আটক করে পরিষদের পক্ষে আদাই কার সুভাষ মন্ডলকে।
এসময় সুভাষের কাছ থেকে ১২০ জন ভাতাভোগের নিকট থেকে ১শত টাকা করে মোট ১২হাজার উৎকোচের টাকা উদ্ধার করেছে।ফকির হাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাহানাজ পারভীন এর নির্দেশে উদ্ধার কৃত টাকা আবার ভাতাভোগীদের মাঝে ফেরৎ দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ভ্রাম্যমান আদালতের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোছাঃ শাহানাজ পারভীন বলেন ফকির হাটের শুভদিয়া ইউনিয়নে বয়স্ক,বিধাব ও প্রতিবন্ধিদে কার্ড প্রদানে ভাতা ভোগীদের নিকট থেকে উৎকোচ নেয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ওই ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান করে।এ সময় তেকাঠিয়া গ্রামের মৃত গুরুচরন মন্ডলের পুত্র সুভাষ মন্ডলেকে উৎকোচ নেওয়া ১২হাজার টাকসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।এঘটনায় অভিযুক্ত সুভাষ মন্ডলকে ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রম্যান আদলত।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই ইউনিয়নের ৯০৬ জন বিভিন্ন ভাতাভোগীদের নিটক থেকে একই কায়দায় ২শত করে উৎকোচ গ্রহন করেছে বলে ভুক্তভোগী ও একাধিক সূত্র জানিয়েছে। জানা গেছে, শুভদিয়া ইউনিয় পরিষদের চেয়ার ম্যান মো; শহিদুলে ইসলামে নির্দেশে ইউপি সচিবের সহযোগী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসচিল।
এরই সুবাদে সে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ভাতাভোগীদের নিকট থেকে উৎকোচ গ্রহন করত। তাকে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম ব্যক্তিগত ভাবে মাসিক বেতন প্রদান করে আসছিল বলে জানা গেছে।
« এ কেমন শক্রুতা ৬০০ শসা গাছ কর্তন ! (আগের খবর)
(পরবর্তী খবর) শরণখোলায় ঘাতক বাস ড্রাইভারের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ »