প্রধান মেনু

২২ দিনের অবরোধ শেষে জেলেদের সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি

আ. মালেক রেজা ।।
টানা ২২ দিনের অবরোধ শেষে আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে জেলে পল্লী। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসবে তাজা ইলিশ কিনতে শরণখোলার মৎস্য আড়তে। আবারও ইলিশ ক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠবে উপকূলীয় এলাকা শরণখোলা । যেখানে নিষেধাজ্ঞার সময় শূন্যতা বিরাজ করছিল সেখানে এখন আবার প্রাণ সঞ্চার ফিরে আসছে।

সাগরে সব ধরনের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৎস্য শিকারের উপর টানা নির্ধারিত ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাত ১২ টার পর থেকে সাগরে যাবে উপকূলীয় এলাকা শরণখোলা,মোড়েলগজ্ঞ,পারের হাট,মুঠবাড়ীয়া,পিরোজপুর,চরদুয়ানী ,পাথরঘাটা ও বরগুনার কয়েক হাজার জেলে ।গভীর সাগরে ইলিশ পাওয়ার আশায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা । তাদের প্রত্যাশা নিষেধাজ্ঞার ফলে আগের চেয়ে ইলিশ বেশি ধরা পড়বে সাগরে।

এফবি সোনার মদিনা ফিশিং ট্রলারের মাঝি মোহম্মাদ আলীর,এফবি ফারুক ট্রলারের জেলে মো. খলিল ও মক্কা-মদিনা ট্রলারের জেলে বিল্লাল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২২ দিনের সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা কারণে বেকার বসে থেকে ধার-দেনা করে চলতে হয়েছে সমুদ্রগামী উপকূলীয় জেলেদের। এখন আবার জেলেরা নতুন করে বিনিয়োগ করে সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেলেরা জানিয়েছেন, করোনা প্রকোপে কারনে সঠিক সময় তারা মাছ ধরতে না পারায় এবছর অনেকেই ঋণ গ্রস্থ হয়েছে।

শরণখোলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজ বলেন,নিষেধাজ্ঞায় সাগর ও তার মোহনায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা ছিল। এ সময় জেলেরাও মাছ ধরা থেকে বিরত ছিল।এবং আমাদের অভিযান অব্যহত ছিলো। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে দিতে উপজেলার ৬ হাজার সাত শত জেলে পরিবারের মধ্যে ৫ হাজার বিশ জনকে ২০ কেজি করে চাল দেয় হয়েছে। বরাদ্দ কম থাকায় বাকী ১ হাজার ৬৮০ জনকে সহয়তা দেয় সম্ভাব হয়নি।

শরণখোলা উপজেলা মৎস্য জেলে সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন ,এবছর এ উপকূলীয় এলাকায় ইলিশ মাছ কম পড়েছে আশা করি ২২ দিনের অবরোধ শেষে জেলেরা সাগরে ফিরলে কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়লে ধার-দেনা পরিশোধ করতে পারবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*