প্রধান মেনু

হারাম খাবেন না হারাম খেলে শরীর ও মনে শান্তি থাকবে না- ছারছীনার পীর

বদরুজ্জামান সুজন, নেছারাবাদ (পিরোজপুর) ।।

ছারছীনা দরবার শরীফের হযরত পীর ছাহেব আলহাজ্জ শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ  বলেছেন,  হারাম খাবেন না হারাম খেলে শরীর মনে শান্তি থাকবে না ।

আপনি যে তরিকার অনুসারী হন,যে পেশায় থাকেন হারামকে এড়িয়ে চলুন। তিনি আরো বলেন, মুসলমান শ্রেষ্ঠ জাতি, সর্বোত্তম জাতি,কিন্তু অতীব দু:খের বিষয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে  আজ মুসলিম উম্মাহ নির্যাতিত,নিপীড়িত অমুসলিমদের হাতে, এর মূল কারণ কুরআন ও সুন্নাহর পথ থেকে দূরে সরে যাওয়া।

নেক আমল বাদ দিয়ে মনগড়া মতবাদের আলোকে জীবন পরিচালনা করা। প্রিয় নবীর আদর্শের অনুসারী না হয়ে বিজাতীয় কৃষ্টি কালচারের অনুসরণ করা। মুসলিম উম্মাহর সংকট উত্তোরণে মহনবীর আদর্শের খাঁটি অনুসারী হতে হবে।আজ রবিবার বাদ জোহর ছারছীনা দরবার শরীফের ঈসালে ছওয়াব মাহফিলের শেষ দিন আখেরি মোনাজাতে তিনি এসব কথা বলেন।এসময় পীর ছাহেব বলেন, এই দরবার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে একই আদর্শ, একই নিয়মে পরিচালনা হয়ে আসছে।

এ দরবার আদর্শ ও আকীদার বেলায় কারো সাথে আপোষ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না ইনশাআল্লাহ।লক্ষ লক্ষ মুসল্লিদের উদ্দেশ্য করে পীর সাহেব বলেন, সকলকে নেক্কার আল্লাহর খাঁটি মুসলমান হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করুন এবং গ্রামেগঞ্জে সহ সব জায়গায় দীনিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করুন।এর সাথে সাথে আরও বলেন, আকীদা হলো ঈমানের মালা, যার আকীদা ভালো, স্বচ্ছ ও সুন্দর সে অল্প আমলেই নাজাত পাবে।

এছাড়াও গত ৩০ নভেম্বর বাদ এশা অরাজনৈতিক দ্বিনী সংগঠন বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর মজলিশে শুরার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। শুরা অধিবেশনে বাংলাদেশে ব্লাসফেমী আইন পাশ এবং স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে নারী পুরুষ  পৃথক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবী জানানো হয়।অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম (এমপি), বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম, এন.এস.আই এর বরিশালের বিভাগীয় প্রধান প্রমূখ।

ছারছীনা দরবার শরীফের ঈসালে ছওয়াব মাহফিলের শেষ দিন ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর উপর আলোচনা করেন মাওঃ মোঃ রুহুল আমিন আফসারী, মাওঃ মুহাঃ ওসমান গণি ছালেহী, মাওঃ মোঃ বোরহান উদ্দিন ছালেহী, মাওঃ মুহাঃ মুহিব্বুল্লাহ আল মাহমুদ।

সবশেষে হযরত পীর ছাহেব দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ শান্তি কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।মাহফিলে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,এখানকার সার্বিক পরিবেশ, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা, ওযু-গোসল, স্যানিটেশনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা সহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও তাদের কোন ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*