প্রধান মেনু

স্বাস্থ্য বিভাগের হানা !

১০ শয্যার ক্লিনিকে এক রাতে ১৪ সিজার

যশোর প্রতিনিধি ।।

যশোরের চৌগাছার পল্লবী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। গ্রাম্য চিকিৎসক মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন ১০ শয্যার এই ক্লিনিকে প্রসূতিদের সিজারই বেশি হয়। এর মধ্যে নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সেখানে হানা দেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই ক্লিনিকটিতে ১৪ প্রসূতির সিজার হয় বলে তারা জানতে পারেন। সক্ষমতা না থাকার পরও মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অভিযোগ উঠেছে সেবা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দুুটি ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) এবং প্যাথলজিক্যাল টেস্ট কার্যক্রম। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে একটি দল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শহরের ছয়টি বেসরকারি ক্লিনিক পরিদর্শন করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- পল্লবী ক্লিনিক, নোভা এইড ক্লিনিক, মায়ের দোয়া ক্লিনিক, কপোতাক্ষ ক্লিনিক, মধুমতি প্রাইভেট হাসপাতাল ও বিশ্বাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার। পরিদর্শনকালে ক্লিনিকগুলোয় পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকাসহ বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘চৌগাছা শহরের ছয়টি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়েছে শুক্রবার। এর মধ্যে পল্লবী ক্লিনিকে বৃহস্পতিবার রাতেই ১৪ প্রসূতিকে সিজার করা হয় বলে জানা যায়। এ বিষয়টিও আমাদের নজরে এসেছে। ক্লিনিকের মালিকদের সেগুলো সংশোধনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মধুমতি প্রাইভেট হাসপাতাল ও মায়ের দোয়া প্রাইভেট ক্লিনিক নামে দুটি বেসরকারি ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) এবং প্যাথলজিক্যাল টেস্ট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

পরিদর্শনকালে সিভিল সার্জনের সঙ্গে আরও ছিলেন যশোরের সহকারী সিভিল সার্জন ডা. শাহীনুর সামাদ, সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ ও চৌগাছার আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আরিফুল ইসলাম।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*