প্রধান মেনু

 সুন্দরবনে অবাধে মহিষের বিচরণ ! ধ্বংস হচ্ছে বনায়ন।বনবিভাগ নিরব

মাসুদ মীর ।।

 পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে মহিষের অবাধ বিচরণ বন্ধ হয়নি। মহিষে গাছপালা সাবাড় করায় বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বনায়ন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বগী ফরেষ্ট ষ্টেশনের অধীন ডুমুরিয়া ও চরখালী ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের ম্যানেজ করে শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের বগী, চালিতাবুনিয়া, তেরাবাকা ও পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়ার সাপলেজা, নলী এবং বরগুনার পাথরঘাটা চরদুয়ানী, কাঠালতলীসহ আশে পাশে অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারা তাদের পালিত শত শত মহিষ ঘাষ খাওয়ানোর জন্য বেপরোয়া ভাবে সুন্দরবনের ডুমুরিয়া ও চরখালীর বনে ছেড়ে দিয়ে যায়।

মহিষগুলো দিবারাত্রি বনের মধ্যে চড়ে বেড়ায়। বনে গজিয়ে ওঠা চারা গাছসহ অন্যান্য গাছপালা খেয়ে সাবাড় করছে মহিষ। এতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে নতুন বনায়ন। বর্তমানে প্রায় দুইশত মহিষ ডুমুরিয়া থেকে চরখালী হয়ে সুদুর শাপলা টহল ফাঁড়ি পর্যন্ত বিচরণ করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক নির্ভরযোগ্য সূত্রটি জানায়, বনে মহিষ চড়ানোর জন্য টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের মাসিক চুক্তিতে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। মহিষের মালিকরা সম্মিলিতভাবে টাকা পরিশোধ করে থাকে।

শরণখোলার বগী গ্রামের ছালাম চৌকিদারের একটি মহিষ বন থেকে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে একই গ্রামের আঃ রহমানসহ আরো ৩/৪ জন লোক গত ১৮ আগষ্ট দুপুরে ডুমুরিয়ার বনে প্রবেশ করে। মহিষ খোঁজার এক পর্যায়ে আঃ রহমান সুন্দরবনের মধ্যে হারিয়ে যায়। পরে সারারাত গাছে চড়ে নিখোঁজের ১৮ ঘন্টা পরে ১৯ আগষ্ট সকালে জেলেরা সুন্দরবন থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়ীতে পৌছে দেয়।

সুন্দরবনে মহিষ চড়ে বেড়ানোর খবর ইতোপূর্বে  বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও বনবিভাগ অজ্ঞাতকারণে বিষয়টি এড়িয়ে চলেছেন বলে নির্ভরযোগ্য ঐ সূত্রটি জানায়।

বগী ফরেষ্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা সাদিক মাহমুদ বলেন, গত এক মাসে তিনি নিজে বাদী হয়ে একটি ও চরখালী টহল ফাঁড়ি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদী হয়ে মহিষ মালিকদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন।

এ ব্যপারে বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ সামসুল আরেফিন বলেন, মহিষ নিয়ে যাওয়ার জন্য মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং সুন্দরবনে মহিষ বিচরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত দুটি মামলা করা হয়েছে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*