প্রধান মেনু

উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘের ময়না তদন্তে রিপোর্টে শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি

সুন্দরবনের মৃত বাঘের ময়না তদন্ত সম্পন্ন

ইমরান উদ্দিন শুভ।।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর সংলগ্ন রুপার খাল থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ২৯ জানুয়ারী শনিবার সকালে শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জেল হোসেন ময়না তদন্ত করেন।

বনবিভাগ সূত্র জানায়, গত ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চর সংলগ্ন রুপার খাল থেকে নয় ফুট লম্বা, চার ফিট তিন ইঞ্চি উচ্চতার আনুমানিক ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সের একটি মৃত বাঘের মরদেহ উদ্ধার করে বন বিভাগ।

২৯ জানুয়ারী সকালে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সামছুল আরেফিনের নেতৃত্বে বন বিভাগের একটি দল বাঘটিকে দুবলা থেকে শরণখোলায় নিয়ে আসেন। পরে, শরণখোলা উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মো. তোফাজ্জেল হোসেন মৃত বাঘের দাঁত, চামড়া, লিভার, ফুসফুস ও পাকস্থলি সহ বিভিন্ন অর্গানের নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় পশু অনুসন্ধান ও গবেষনা কেন্দ্র ঢাকায় প্রেরণ করেন।

আগামী দু’এক সপ্তাহের মধ্যে ময়না তদন্ত রিপোর্টে বাঘ মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটন হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা বিভাগীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. লুৎফর পারভেজ।

এ ব্যাপারে, সুন্দরবন সংলগ্ন সাউথখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা ও তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মো. আ. মালেক রেজা জানান, বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবন থেকে মৃত বাঘ উদ্ধার করা হয় এবং এর ময়না তদন্তে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দেয়া হলেও আসল রহস্য আদৌ উদঘাটন হয়না।

সুন্দরবন বিভাগের খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (সিএফ) মিহির কুমার দো জানান, ২০২১ সালে সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি মৃত বাঘের ময়না তদন্তে রিপোর্টে বাঘের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের ১৯ মার্চ সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ধুনছেবাড়িয়া চর থেকে আনুমানিক ১৪ থেকে ১৫ বছর বয়সী ৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩ ফুট উচ্চতার ও একই বছরের ৭ নভেম্বর সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের চুনকুড়ি রাজাখালী খালের পাশ থেকে আরা একটি বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার করে বনবিভাগ।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*