প্রধান মেনু

অপহৃত সুনামগঞ্জের দুই কয়লা ব্যবসায়িকে মোড়েলগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ,গ্রেপ্তার-৩

মাসুম হাওলাদার ।।

পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে সুনামগঞ্জ থেকে অপহৃত দুই কয়লা ব্যবসায়িকে উদ্ধার করেছে বাগেরহাট পুলিশ। এসময় তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৩১ জুলাই রাতে বাগেরহাটে এসএ পরিবহণে মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা নিতে এসে ওই তিন অপহরণকারী পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।

গত ৪৮ ঘন্টা বাগেরহাট জেলা পুলিশের একাধিক দল অপহরণকারীদের ধরতে এই অভিযানে অংশ নেয়। পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ি মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার ( ২ আগস্ট )তাদের সুনামগঞ্জে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট ) বেলা সাড়ে বারোটায় বাগেরহাট সদর মডেল থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। এসময় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহাতাব উদ্দীনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অপহরনকারীরা হলেন, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভিটাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. তুহিন শিকদার (২২), জেলার সদর উপজেলার উত্তর পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের রফিক হাওলাদারের ছেলে পারভেজ হাওলাদার (২৫) এবং কোমারখালী গ্রামের আশ্রাব আলীর ছেলে মো. আজগর আলী (৩৫)।
প্রেস ব্রিফিং এ বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল সাংবাদিকদের বলেন, গত ৩০ জুলাই সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর উপজেলার টেকেরহাট মাটিকাটা এলাকার কয়লা ব্যবসায়ি নুরুল আলম এবং মুসলিম মিয়ার সাথে পিরোজপুর জেলার জনৈক তুহিন ওরফে সৈকত শিকদারের মোবাইলফোনে পরিচয় হয়। এই সৈকত শিকদার নিজেকে ইটভাটা মালিক পরিচয় দিয়ে তাদের কাছ থেকে কয়লা কেনাবেচা করতে আগ্রহ দেখালে পরদিন তারা সৈকতের সাথে ব্যবসায়িক চুক্তি করতে পিরোজপুর বাসস্ট্যান্ডে আসেন।

পিরোজপুর আসার পর সৈকতের ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে রাজু নামে এক যুবক ওই দুই ব্যবসায়িকে বাসস্ট্যান্ড থেকে লঞ্চঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে আসার পর তাদের ইট ভাটা দেখানোর কথা বলে ট্রলারে উঠিয়ে নিয়ে অস্ত্রের মূখে হাত পা বেঁধে ফেলে মারধর করে এবং তাদের কাছে থাকা ব্যাংকের চারটি চেক ও নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে এই অপহরণকারীরা তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

এই ব্যবসায়িরা অপহরণকারীদের কাছ থেকে ছাড়া পেতে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজি হয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করেন। অপহ্নত ব্যবসায়িদের পরিবার ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পুলিশ মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা এস এ পরিবহণে মাধ্যমে ওই অপহরণকারীদের দিতে বলে ফাঁদ পাতে এবং অপহরণকারীদের গতিবিধি মনিটরিং করতে থাকে। মুক্তিপণের ওই টাকা অপহরণকারীরা এসএ পরিবহণে নিতে আসলে পুলিশ তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলে।

পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ এলাকা থেকে অপহ্নত ওই দুই কয়লা ব্যবসায়িকে উদ্ধার করে। এদের বিরুদ্ধে তাহেরপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাদের শুক্রবার সুনামগঞ্জে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*