সিডরের একযুগ হলেও শেষ হয়নি শরণখোলার বেড়িবাঁধের কাজ
আলোরকোল ডেস্ক ।।
আজ ১৫ নভেম্বর সসুপার সাইক্লোন সিডরের ১১ বছরেও শরণখোলাবাসীর প্রাণের দাবি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।
তিন বছর মেয়াদের এ বেড়িবাঁধ প্রকল্প ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত আরো দুই বছর কাজের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সিডর বিধ্বস্ত বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/১ পোল্ডারে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৩’শ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে।
কিন্তু মেগা বাজেটের এ বেড়িবাঁধে নদী শাসনের ব্যবস্থা না থাকায় নির্মিত বাঁধ নদীতে বিলীনের আশঙ্কা এলাকার মানুষের। চীনের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ করছে।
বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের স্থানীয় প্রকৌশলী শ্যামল কুমার দত্ত জানান, ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৩’শ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫/১ পোল্ডারের ৬৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধের কাজ সিএইচডব্লিউই নামে চাইনিজ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তিন বছরে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও তারা এ পর্যন্ত ৫০ ভাগ কাজ শেষ করেছে।
বেড়িবাঁধটি টপে চওড়ায় ৪.৫০ মিটার এবং বর্তমানের চেয়ে স্থান ভেদে দুই থেকে আড়াই মিটার উঁচু হবে। অত্র পোল্ডারে বেড়িবাঁধ নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮’শ ৯৯ জন। প্রকল্পের কাজের মধ্যে বলেশ্বর নদী তীর এলাকার ১১.৭৫০ কিঃমি সিসি ব্লকের কাজ, ১৫টি ড্রেনেজ স্লুইস গেট, ১৭টি ফ্লাসিং স্লুইস গেট ও পাঁচটি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হবে।
এ প্রকল্পের মধ্যে মাত্র দেড় কিলোমিটার নদী শাসনের কাজ ধরা হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য মাত্র।
সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বাঁধ নির্মাণ কাজ খুবই মন্থরগতিতে চলছে। নদী শাসন ছাড়া বেড়িবাঁধ নির্মিত হলে তা পানিতে ভেসে যাবে। জনগণের কোনো কাজে আসবে না।
ইতোমধ্যে সাউথখালীর গাবতলা ও বগী এলাকায় নতুন ওয়াপদা বেড়িবাঁধ নির্মাণের স্থানে আকস্মিকভাবে কয়েক দফা শত শত মিটার এলাকা জুড়ে সিসি ব্লকসহ বেড়িবাঁধ বলেশ্বর নদীতে বিলীন হয়েছে।
এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এবং নদী শাসনের বিষয়টি খুবই জোরালো হয়ে উঠেছে। নদী শাসনের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
সিইআইপি প্রজেক্ট খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, শরণখোলার বগী এলাকায় ১ কিলোমিটারসহ পুরো প্রজেক্টে ৯ কিলোমিটার নদী শাসনের প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
অর্থ বরাদ্দ পেলে নদী শাসনের কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন, বগী এলাকায় ভাঙনের তীব্রতায় নতুন করে ডিজাইন ও জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রকল্পের কাজের মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত আরো দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।