শরনখোলায় কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়নের অভিযোগ
আলোরকোল ডেস্ক ।।
বাগেরহাটের শরনখোলায় মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় তাফালবাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজে গোপনে একজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন একই কলেজের অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায়।
সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন মহলে এমন অভিযোগের বার্তা প্রেরন করেন ওই বিদ্যাপিঠের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও সাউথখালী ইউনিয়নের ৩নং-দক্ষিন তাফালবাড়ী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ওবায়দুল হক । অভিযোগে তিনি দাবি করেন ,চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে অত্র কলেজের একজন দপ্তরী/নৈশ প্রহরীর পদ শূন্য হয়ে পড়ে । পরবর্তীতে কলেজের এক সভায় ৩টি বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সিদ্বান্ত হয়।
কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ সাহেব নাম স্বর্বশ্ব ২টি পত্রিকায় কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা গোপন করে রাখেন । এছাড়া আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন পত্র জমা শেষে তা যাচাই-বাচাই করার সময় আমাদের একাধিক অভিবাবক সদস্যদের না জানিয়ে গোপনে তার পছন্দের ব্যাক্তিদের নিয়ে বাঁচাই করেন ।
এছাড়া কলেজের জনৈক এক শিক্ষক প্রতিনিধির মাধ্যমে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময় সদ্য (অবসরে) যাওয়া কলেজের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারি মোঃ আলী হোসেনের মাদক সেবী ছেলে আঃ রহিমকে গোপনে ওই পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য পায়তারা চালাচ্ছেন অধ্যক্ষ । আমাদের অবগত না করেই করোনা দুর্যোগের মধ্যেই আগামী ২২ জুন নিয়োগের সকল প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করে ফেলেছেন কলেজ অধ্যক্ষ সহ তার অনুসারীরা ।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান খান বলেন , ওই অভিবাবক সদস্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে । বিষয়টির তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।
অপরদিকে, এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি । তবে, কলেজের অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় জানান , আমি এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি ।
নিয়োগের সকল বিষয় ওই সদস্যরা অবগত আছেন । এছাড়া আমার বিরুদ্বে যে অভিযোগ গুলো উত্থাপন করা হয়েছে তার বিন্দু মাত্র কোন সত্যতা নেই ।
নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে বিভিন্ন মহলে কাল্পনিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় ।