প্রধান মেনু

ঐতিহ্যের রীতিনীতিকে স্মরণ করিয়ে দিতে  

শরণখোলা সরকারি কলেজে গ্রামবাংলার পিঠা উৎসব

আলোরকোল ডেস্ক ।।   

গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্যের রীতিনীতিকে কিছুটা স্মরণ করিয়ে দিতে  শরণখোলা সরকারি কলেজ   এক পিঠা উৎসবের আয়োজন করে ।

আজ মঙ্গলবার কলেজ ক্যাম্পাসে ১৪টি স্টলে শোভিত হয় হরেক রকম পিঠা, পায়েস। সকাল থেকে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে তৈরী হয় এক মূখরিত পরিবেশ ।

উৎসবে শিক্ষার্থীদের ১৪টি স্টলের পিঠার সমাহার যেমন ঠিক তেমনি স্টলের নামের দেখা গেল বৈচিত্র্য। উৎসবে আসা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। পিঠা উৎসবে প্রচুর অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর সমাগমে উৎসব প্রাণচাঞ্চল্য পায়।

 জমজমাট বিক্রিও হয় স্টলগুলোতে। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে পরিচালিত এই পিঠা আয়োজনে শত শত দর্শনার্থী ও ক্রেতার ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হয় আয়োজকদের।

মঙ্গলবার (২১জানুয়ারী)সকাল ১০টায় ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন। এসময় অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল এম মনিরুজ্জামান, শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, সহ-সভাপতি মিজানুর রাকিব, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম ও সাংবাদিক আ.মালেক রেজা প্রমূখ।

উৎসবের প্রথম স্থানে থাকা স্টল ‘বাঙালি পিঠা ঘর’ পরিচালক ও কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সারমিন সুলতানা বলেন, আমরা শুধু ব্যবসা বা উৎসব পালনের জন্য এই আয়োজন করিনি। বিলুপ্তপ্রায় বাঙালি ঐতিহ্যকে ফেরাতে এবং বর্তমান প্রজন্মের কাছে গ্রাম-বাংলার পিঠাপুলির পরিচিতি ঘটাতেই এই আয়োজন করেছি।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা হৈমন্তী পিঠা ঘরের পরিচালক ও রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জেবুন্নেছাও একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

তারা জানান, শাহী পাটিসাপটা, পুলি, দুধ চিতই, পায়েস, লবঙ্গ লতিকা, জামাই রাজা, গোলাপ পিঠা, চালতা ফুল, হৃদয় হরণসহ গ্রামীন ও শহুরে মিলে ২৫ থেতে ৩০ পদের পিঠাপুলি দিয়ে স্টলগুলো সাজানো হয়। এছাড়া শাহী পান ও বিভিন্ন ধরণের চাটনিও রয়েছে। পিঠার এতো চাহিদা হবে তা আগে বুঝতে পারেনি তারা। দুপুরের মধ্যেই স্টলগুলো খালি হয়ে গেছে।
পিঠা উৎসব থেকে গোলাম মোস্তফা মধু দুই হাজার, বাবুল দাস দেড় হাজার এবং আক্তারুজ্জামান তালুকদার এক হাজার পিঠা কিনেছেন। এই উৎসবে তারা সর্বাধিক পিঠাক্রেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তারা তিনজনই ওই কলেজের শিক্ষক।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. নূরুল আলম ফকির বলেন, মূলত বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সারা রাত জেগে নানান পদের পিঠার সমারোহ তৈরী করেছেন শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা। প্রথমবার এই আয়োজনে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসেছে। পিঠা কেনার পাশাপাশি অনেক আনন্দ উপভোগ করেছে সবাই। কলেজের পক্ষ হতে প্রতিবছর এই পিঠা উৎসব করা হবে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, বাঙালি কালচার ধরে রাখতে পিঠা উৎসব একটি ভালো উদ্যোগ। পাশাপাশি গ্রাম-বাংলার আরো যেসব পার্বন আছে সবই আমাদের পালন করা উচিৎ। এ আয়োজনের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*