প্রধান মেনু

শরণখোলায় সড়ক নির্মানে অনিয়ম ! সরকারি অর্থ লোপাট

 

আলোরকোল ডেস্ক ।।

 বাগেরহাটের শরনখোলায় ঠিকাদার ও প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে কয়েকটি রাস্তা নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ।
করোনা ভাইরাসের কারনে বিশ্ব জুড়ে মানুষ যখন আতংঙ্কিত। ঠিক সেই মুহুর্তে সরকারি অর্থ লোপাটের ধান্ধায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার গ্রুপের সাথে যোগসাজশ করে এক প্রকার সন্ধি বদ্ব হয়েছেন উপজেলার প্রকল্প বাস্ কর্মকর্তা (পিআইও) রনজিৎ কুমার সরকার।


অনুসন্ধানে জানাগেছে,
দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচীর আওতায় ২০১৯/২০ অর্থ বছরে গ্রামীন মাটির রাস্তা টেকশই করন হেরিংবোনবন (এসবিবি) দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর উপজেলার ১নং ধানসাগর ইউনিয়নের হোগলপাতি ও রাজাপুর, ২নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পুর্ব খোন্তাকাটা, ৩নং রায়েন্দা ইউনিয়নের মালিয়া এবং ৪নং সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা ও চালিতাবুনিয়া এলাকার ৬টি সড়কের তিন হাজার মিটার এলাকা পাকা করনের জন্য ১কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্ব দেয় সরকার।

পরবর্তীতে ওই কাজ বাস্তবায়নে জন্য চলতি বছরের মার্চ মাসে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে খুলনার রপসাস্থ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম. এ. জলিল খান, বাগেরহাটস্থ মেসার্স মুন্না এন্টার প্রাইজসহ স্থানীয় একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করেন।

কিন্তু উক্ত কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঠিকাদার সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ স্থানীয় ইট-ভাটার নিন্মামনের অধিকাংশ ইট ,বালুর পরিবর্তে গ্রামাঞ্চালের ডোবা-নালা ও জ্বলাশয়ের কাঁদামাটি ব্যাবহার করে ১০ফিটের পরিবর্তে ৮ ফিট চওড়া রেখে যেনতেন ভাবে সড়ক গুলের কাজ সম্প্রতি সমাপ্ত করেছেন। তবে, রাস্তার উভয় পার্শ্বের মাটি ভরাট , ঘাস রোপন, বিভিন্ন অংশের পাইলিং ,পানি নিঃস্কাশনের ড্রেন সহ একাধিক মিনি কালভার্টের আদৗ কোন কাজ করেননি ঠিকাদার সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, এমন অভিযোগের বিষয় গুলো সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক বাসিন্দা ।

তবে, সরকারী অর্থ এভাবে লোপাট করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করে ইতোমধ্যে চুড়ান্ত বিল ঢাকায় প্রেরনের পায়তারা চালাচ্ছেন প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ঠিকাদার গ্রুপের পক্ষে মেসার্স মুন্না এন্টার প্রাইজের সত্বাধীকারি মোঃ এবাদুলহক বলেন, আমার লাইসেন্সে উক্ত কাজটি শরনখোলার একজন করেছেন । তবে, যেই করুক না কেন কাজ বুঝে নেওয়ার দ্বায়িত্ব পিআইও সহ সংশ্লিষ্ট ইউএনও সাহেবের ।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার দাবী করেন ,আমার যোগসাজশ থাকার প্রশ্নই নেই । এছাড়া কাজে কোন অনিয়ম হয়নি ।

তার পরেও কোন অসংগতি হয়ে থাকলে সে বিল ওই ঠিকাদার পাবেনা । এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্থফা শাহিন বলেন, সরকারি অর্থ লোপাটের কেউ চেষ্টা করলে তা বরদাস্ত করা হবে না । ওই সড়ক গুলো নির্মানে কোন অনিয়ম/দুর্নীতি হয়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্বে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে ।##






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*