প্রধান মেনু

প্রশ্ন পত্র সরবারহে

শরণখোলায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ হাতানোর অভিযোগ

 শরণখোলা প্রতিনিধি ।।

বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রশ্ন পত্রের সরবারহের নামে এক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার অধিকাংশ সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে  ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ১১৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুকুলে প্রায় ১৫ হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থী চলতি বছরের প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। তার ধারাবাহিকতায় উপজেলা জুড়ে ২৪ এপ্রিল  শিশু শিক্ষার্র্থীদের পরীক্ষা শুরু হয়। এ সুযোগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী শিক্ষা কমকর্তা বিধান চন্দ্র রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রশ্ন পত্র সরবারহের নামে সেট প্রতি (একজন শিক্ষার্থীর) অনুকুলে ২ টাকা ৫০ পয়সা সরকারী রেটের পরিবর্তে ৮ টাকা করে আদায় করেন। পরিচয় গোপন রাখা শর্তে উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও অনেক অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, সরকারী নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে প্রশ্ন পত্র সরবারহের নামে বেশী টাকা হাতানোর বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তার এক ধরনের চাঁদাবাজী। সরকারী নিয়মের চেয়ে প্রশ্ন পত্রে বেশী টাকা নেওয়ায় শিক্ষকরা আবার পরীক্ষার ফি বাড়িয়ে তার দায় চাপিয়েছেন শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের উপর।

ওই কর্মকর্তা সহ শিক্ষক নামধারী একটি দালাল চক্রের অপতৎপরতা বন্ধ করা না গেলে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের অনিয়ম দুর্নীতির লাগাম টানা সম্ভব হবে না। যারা শিক্ষা নিয়ে এ ধরনের বানিজ্যের পাশাপাশি নানা অনিয়ম, দুর্নীতি করে সরকারের বদনাম রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট উদ্ধতন কতৃপক্ষের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

এ ধরনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের কারনে সরকারের অধিকাংশ উন্নয়ন অনেক ক্ষেত্রে দৃশ্যমান হচ্ছে না এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের নানা অনিয়ম দুর্নীতির কারনে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সরকারী নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র রায় এর ০১৭১৫২৯২৯৬০ নং মুঠোফোনে একাধিক বার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অপরদিকে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। 

 






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*