প্রধান মেনু

অচল শিক্ষা কার্যক্রম, দেখার কেই নেই

শরণখোলায় শিক্ষকের অপসারনের দাবীতে এক সপ্তাহ ধরে স্কুলে ঝুলছে তালা

 

আলোরকোল ডেস্ক ।।
শরণখোলার আমড়াগাছিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মাহফুজুর রহমান প্রিন্সের অপসারন দাবীতে গত সাত দিন ধরে ক্লাশ বর্জন করে চলছে শিক্ষার্থীরা। তালা ঝুলছে ক্লাশগুলোতে। অচল হয়ে পড়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম। ওই শিক্ষককে চরিত্রহীন দাবী করে গত ৯ জুলাই অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ক্লাশ বর্জন করে বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণীকক্ষসহ প্রধান শিক্ষকের অফিসে তালা দিয়ে আন্দোলনে নেমেছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন খান জানান, গত ১৯ মার্চ ক্রীড়া শিক্ষক মাহফুজুর রহমান প্রিন্স বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়। শিক্ষকের এহেন অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস বর্জন, সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ, ঝাঁড়ু মিছিল ও মানববন্ধনের প্রেক্ষিতে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেন।

সাময়িক বরখাস্তের বিরুদ্ধে শিক্ষক মাহফুজুর রহমান বাগেরহাটের শরণখোলা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গত ২৩ জুন আদালত সাময়িক বরখাস্ত আদেশ বাতিল করে শিক্ষক মাহফুজকে বিদ্যালয়ে যোগদান করার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন।

৯ জুলাই শিক্ষক মাহফুজুর রহমান প্রিন্স বিদ্যালয়ে ক্লাশ করতে গেলে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাশ বর্জন করে রাস্তায় নেমে এসে স্থানীয় আমড়াগাছিয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে ক্লাশে তালা ঝুলিয়ে দেন।
অভিভাবক দুলাল তালুকদার, ফিরোজ আহমেদ বাচ্চু, মরিয়ম আক্তার ও রিনা বেগম বলেন, শিক্ষক মাহফুজ ইতিপূর্বে একাধিকবার ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজ করে বিভিন্নভাবে পার পেয়ে গেছেন। তাকে অপসারন না করা পর্যন্ত ক্লাশবর্জন সহ আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে। শিক্ষক মাহফুজুর রহমান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা তার বিরুদ্ধে একটি মহলের ষড়যন্ত্র।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুজ্জামান খাঁন বলেন, ক্লাশ শুরুর জন্য বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ শহীদ হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে ওই শিক্ষককে যোগদান করানো হয়েছে কিন্তু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে তালা মেরে আন্দোলনে নেমেছে সেখানে তাদের করার কিছু নেই।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই খোঁজ নিয়ে অচিরেই ওই বিদ্যালয়ে ক্লাশ শুরুর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*