প্রধান মেনু

শরণখোলায় বিদ্যালয়ের ইট বহনের সময় দোতলা থেকে পড়ে হাত ভেঙ্গে যায় এক শিক্ষার্থীর

শরণখোলা প্রতিনিধি ।।
শরণখোলায় ৫২ নং বকুলতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র মারুফ (১৩)’র বিদ্যালয়ের ইট বহনের সময় দোতলা থেকে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙ্গে গেছে।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সোমবার রাত ৮ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ৫ম শ্রেণীর ছাত্র মারুফ সাংবাদিকদের জানায়, প্রতিদিনির মত সে সোমবার বিদ্যালয়ে যায়।

দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন মুক্তা অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে তাকেও বিদ্যালয়ে স্তুপ করে রাখা ইট দোতলার ছাদে উঠাতে বলেন। তখন সে সহপাঠিদের সাথে ছাদে ইট বহন করে। এক পর্যায়ে মারুফ পা ফসকে ছাদ থেকে নীচে পড়ে তার ডান হাত ভেঙ্গে এবং হাটু থেতলে যায়।

পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সোমবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে বসে মারুফের মাতা মাসুরা বেগম বলেন, তার পুত্রের আর কয়েকদিন পরেই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বসার কথা তার পরীক্ষা দেয়া এখন অনিশ্চিত।

ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের দ্বারা বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাজ ঝাড়ু দেয়া পানি আনা বিস্কুটের কার্টন গাড়ী থেকে নামিয়ে আনার কাজও করিয়ে থাকেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি তার পুত্রের সুচিকিৎসা ও ঘটনার বিচার দাবী করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন মুক্তা জানান, তিনি ঐ ছাত্রকে ইট বহনের কথা বলেননি। ছাত্র মারুফ নিজেই ইট তুলতে গিয়ে পা ফসকে পড়ে যায় এবং তিনি নিজে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন বলে জানান।
শরণখোলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনা শুনেছেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ৫ম শ্রেণীর ছাত্র আহত হবার খবর শুনে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বকুলতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শণ করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারুফের সাথে কথা বলেন।

এ ব্যপারে ঐ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি মতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*