প্রধান মেনু

শরণখোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবেলায় ১০৭টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত

 

আলোরকোল ডেস্ক ।।

  ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’  অসনি সংকেত হয়ে দেখা দিয়েছে উপকূলীয়  শরণখোলাবাসীর কাছে। ঝড়ের আগমুহূর্তে আবহাওয়ার গুমটভাব ঠিক যেন ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করি সিডরের সেই ভয়বহতার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রচারিত সাত নম্বর বিপদ সংকেতের খবর শুনে উৎকণ্ঠা আরো বাড়ছে মানুষের মাঝে।

ফাইল ছবি

সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী সকল জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলা হচ্ছে। 

এদিকে, ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে যাতে জান-মাল রক্ষা পায় সেজন্য উপজেলা প্রশাসন আগাম প্রস্ততি নিয়ে রেখেছে। উপজেলার ১০৭টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে ওই সব সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রিতদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিৎ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় উপজেলা ও চারটি ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির একাধিক মিটিং করে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা, প্রাথমিক চিকিৎসা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বেচ্ছাসেবক এবং মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। 

এ ছাড়া উপজেলার মোট ১০৭টি সাইক্লোন শেল্টারে আনুমানিক ২২ হাজার আশ্রিতদের প্রাথমিক খাদ্য সহায়তার জন্য পর্যাপ্ত চিড়া, গুড়, পানি এবং মোমবাতি ও দিয়াশলাই মজুদ রাখা হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপ-পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে যেকোনো মুহূর্তে সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের জন্য ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করেছে আবহাওয়া দপ্তর। বর্তমানে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় সাড়ে ১১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঝড়টি। 

যে কোনো মুহূর্তে দিক পরিবর্তন করে মঙ্গল-বুধবার সন্ধ্যার দিকে ভারতের উড়িষ্যা অথবা বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঝড়ের সতর্কবার্তা প্রচার এবং উদ্ধার কাজের জন্য শরণখোলায় তাদের ৪৫টি সিপিপি সেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রয়েছে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*