প্রধান মেনু

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিনের অপসারণের দাবীতে পৃথক পৃথক মানববন্ধন

শরণখোলায় এক ডাক্তারের বদলি প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

রিপোর্ট আলোরকোল ।।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যপরায়ন মেডিকেল অফিসার ডাঃ সিরাজুল ইসলামের বদলির আদেশ প্রত্যাহার ও স্বেচ্ছারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিনের অপসারণের দাবীতে পৃথক পৃথক মানববন্ধন করেছে ডাক্তার, স্টাফ নার্স ও এলাকাবাসী।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানব কল্যান সোসাইটির ব্যানারে এলাকাবাসী এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ডাক্তার ও স্টাফ নার্স এ মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ অংশ নেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা, মানব কল্যান সোসাইটির শরণখোলা শাখার সদস্য সচিব সুরাইয়া আক্তার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাসুম বিল্লাহ, শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম মিরাজ, তাঁতীলীগের আহবায়ক জিয়াউল তালুকদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন , শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন থেকে ডাক্তার সংকট চলে আসছে। এর মধ্যে বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিন প্রশাসনিক কাজ ছাড়া কোন রোগী দেখেন না। এ অবস্থায় করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবেলায় পাঁচজন ডাক্তার হিমশিম খাচ্ছেন।

এমন সময় কর্তব্যপরায়ন মেডিকেল অফিসার ডাঃ সিরাজুল ইসলামকে বাগেরহাট সদরে বদলি করায় এলাকায় চিকিৎসা সংকট দেখা দিয়েছে। তারা অবিলম্বে ওই ডাক্তারের বদলির অদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানান। পাশাপাশি রোগী, মেডিকেল অফিসার ও নার্সদের সাথে দুর্ব্যবহারকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিনের অপসারণের দাবী জানান।
অপরদিকে ডাঃ সিরাজুল ইসলামের বদলী প্রত্যাহারের দাবীতে ডাক্তার ও স্টাফ নার্স যৌথভাবে মানববন্ধন করেন। অবিলম্বে ওই বদলীর আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবেন বলে তারা জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র স্টাফ নার্স শিখা রানী ও জোহরা খাতুন।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ডাঃ সিরাজুল ইসলামকে ডেপুটেশনে বাগেরহাট সদরে নিয়েছেন এখানে আমার কিছু করার নেই।
ব্যাপারে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ হুমায়ুন কবির বলেন, করনো সংকটের কারণে অন্যান্য উপজেলার মতো শরণখোলা থেকেও একজনকে সাময়িক ডেপুটেশনে নিয়ে আসা হয়েছে। ১১ এপ্রিলের পরে তাকে পুনঃরায় শরণখোলা ফিরিয়ে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগীতা চান তিনি। ##

 






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*