প্রধান মেনু

প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবাহন,প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

শরণখোলায় আঞ্চলিক মহাসড়কের ১৪ কিমিঃ সড়ক ঝুঁকিপূর্ন

নজরুল ইসলাম আকন।।

বাগেরহাটের শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া কাঠের পুল থেকে  সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ী সাম বেপারীর ব্রিজ পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক অধিক ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে ।  ১২ ফুট প্রশস্ত সড়কের দুই পাশের কার্পেটিং ভেঙ্গে  বর্তমানে বেশ  কিছু স্থানে ৫ থেকে ৬ ফুট হয়ে গেছে ।

অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। এই সরু সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবাহন। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

সাইনবোর্ড-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে  শরণখোলা বাজার পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। ২০১৬ সালে শরণখোলা অংশের এই ১৪ কিলোমিটার পূর্বের অবস্থায় রেখে বাকি ৩৮ কিলোমিটার ১৮ ফুট প্রশস্ত করে নির্মাণ করা হয়। সেই থেকে প্রায় তিন বছর ধরে মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ছাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রায়েন্দা খালের ওপরের সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের গাইড ওয়ালে ব্যাপক ধস দেখা দিয়েছে। এতে সড়কের নিচের অংশের বালু সরে ৮ থেকে ১০টি পয়েন্টে বিশাল সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে। বালুর বস্তা দিয়ে সেই ধস ঠেকানোর চেষ্টা করছে এলাকাবাসী। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেতুটিও। এই সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন  চলাচল করায় যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক বছরে এই সড়কে প্রাণ গেছে দুজনের, আহত হয়েছে বহু মানুষ। এর মধ্যে গত পাঁচ আগস্ট উপজেলার পাঁচরাস্তা বাদল চত্বর মোড়ে বাসের ধাক্কায় ভ্যানযাত্রী নাছিমা বেগম মারা যান। মেরুদণ্ড ভেঙে গুরুতর আহন হন নাছিমা বেগমের কলেজপড়ুয়া ছেলে নাজমুল এবং দুটি পা ভেঙে যায় ভ্যানচালক প্রতিবন্ধী সবুর মিয়ার। সরু সড়কের কারণে এভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে অনেককেই।

বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আনোয়ার গোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষ আফজাল হোসেন মানিক বলেন, মহাসড়ক এবং সেতুর পাশেই আমার স্কুল। এ কারণে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সবসময় সংশয়ে থাকতে হয় কখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এই ১৪ কিলোমিটার প্রশস্তকরণসহ সেতুর দুই পাশের গর্ত দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই। 

শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ-মোংলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শামীম আহসান পলাশ বলেন, ১৪ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা এতোটাই খারাপ যা দিয়ে যানবাহ চলাচল সম্ভব না। তাছাড়া এই সড়ক দিয়ে ভ্যান, অটো, নছিমন চলার কারণে সরু সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে বহুবার সওজ বিভাগে দাবি জানিয়েও ফল হয়নি।

এ ব্যাপারে বাগেরহাটের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫২ কিলোমিটার সড়ক ১৮ফুট প্রশস্ত করে নির্মানের কথা থাকলেও অর্থ সংকুলান না হওয়ায় শরণখোলা অংশের ওই ১৪ কিলোমিটার আগের অবস্থায় রেখে সংস্কার করা হয়। বর্তমানে ওই ১৪ কিলোমিটার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে কয়েক দফা পিএমপি (মেজর) পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি। দুই মাস আগেও প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এ ছাড়া সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*