প্রধান মেনু

শরণখোলার সাউথখালীতে একটি কাঠেরপুল চার গ্রামের মানুষের মরনফাঁদ

নজরুল ইসলাম আকন ।।

শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়রে খুড়িয়াখালী ও চালিতাবুনিয়া গ্রামের সংযোগ খালের উপরের কাঠের পুলটি এখন চার গ্রামের মানুষের মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে । এ নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের নেইকোন মাথা ব্যথা ।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরাঘাতে লন্ড- ভন্ড হয়ে গিয়েছিলো পুলটি। কয়েক মাস পর এটিকে মানুষ চলাচলের জন্য কোন রকম উপযোগী করে তোলা হয়। এক দুই বছর মোটামুটি চলা- ফেরা করা যায় তারপর কাঠের তক্তা গুলো পচে গলে খালে পড়ে যায়। আবারও সেই দূর্ভোগ শুরু হয় সাধারন মানুষের।

পুলটি অত্যন্ত জনগুরত্বপূর্ন হলেও এটি সংস্কার বা মেরামতের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের কোন  মাথা ব্যথা নাই।
চালিতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় সুন্দরবন ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক হারুন অর রশীদ জানান, চালিতাবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সুন্দরবন দাখিল মাদ্রাসার প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই পুলটির উপর দিয়া আসা-যাওয়া করে।

পুলটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা। পুলটি সংলগ্ন খুড়িয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান হাওলাদার জানান, পুলটি ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা বেশী সংকটে পড়েছে।

তারা স্কুলে রওয়ানা হয়ে এসে ভাঙ্গা ব্রীজের উপর দাড়িয়ে থাকে কারো সহযোগীতা না পেলে আবার বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, প্রতিদিন দুই বার এ ব্রীজটি পার হয়ে আমাদের বিদ্যালয়ে যেতে হয়। কিন্তু দুখের বিষয় কয়েক মাস ধরে এটি ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে।

বই পত্র নিয়ে এ ব্রীজের উপড় উঠলে ভয়ে আমাদের শরীর কেপে ওঠে। কয়েক দিন আগে ব্রীজের ভাঙ্গা অংশ থেকে পরে গিয়ে দুজন পথচারী আহত হয়। অথচ এ বিষয় কোন মাথা ব্যথা নেই চেয়ারম্যান মেম্বরদের।

খুড়িয়াখালী গ্রামের ইউপি সদস্য মো. বাচ্চু মুন্সি জানান, নিঃসন্দেহে এটি একটি গুরুত্বপূর্ন ব্রীজ। চার গ্রামের কয়েকশত মানুষ এ ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে। এটির ব্যাপারে কোন বরাদ্ধের কথা শোনা যায়না। ব্যক্তিগত ভাবে এ ব্রীজ মেরামত করার সামর্থ আমার নাই। সাউথখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন।

সংশ্লিষ্ট সাউথখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন জানান, ব্রীজ ভেঙ্গে গেলে আমি কি করবো ? তবুও চেস্টা করে দেখি কি করা যায়।

জানতে চাইলে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে সাউথখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে দেখি ওটা কি অবস্থায় রয়েছে। জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*