বাগেরহাটের শরণখোলার ইতিহাসে এই প্রথম উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামে বিলাশ রায় কালুর বাড়ীতে সার্বজনীন বৃহত্তম পূজা মন্ডপ তৈরী করায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া পরেছে।
এই দুর্গাপূজা মন্ডপে ৭১টি দেব-দেবীর মুর্তি রয়েছে। এ উপলক্ষে বের করা হয়েছে “আবাহন” নামে একটি স্মরনিকা। এ স্মরনিকায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীসহ রয়েছে মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম , ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন এমপি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ.এম আমিন উদ্দিন’র শুভেচ্ছা বানী ।
উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামে বিলাশ রায় কালুর বাড়ীতে এ দুর্গাপুজা মন্ডপে দুর্গা দেবীসহ পৃথক পৃথক আরো ১৩টি ঘরে প্রত্যেক দেব-দেবীর কর্ম বৈশিষ্ট তুলে ধরে ৭১টি মুর্তি তৈরী করে পুরো মন্ডপ সাজানো হয়েছে। যা দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করার মতো।
গত ২দিন ধরে এই মন্ডপে হাজার হাজার শিশু কিশোর বৃদ্ধসহ নারী-পুরুষ এক নজর দেখার জন্য ভীড় করছে। শরণখোলার ইতিহাসে এতো বড় পূজা মন্ডপ আর কখনো তৈরী হয়নি। এ মন্ডপ দেখতে গেলে দুর্গাপূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট সমিতির কার্যকরি পরিষদের সদস্য চঞ্চল কুমার বিশ্বাস ও সার্বিক তত্ত¡বাধনে থাকা তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মানিক চাঁদ রায় বলেন, বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী শিকদার বাড়ীর প্রতিমা তৈরীর কারিগর খুলনার দাকোপ উপজেলার মৃৎশিল্পীকারিগর তপন কুমার বাসার সহ ৭/৮ জন সহযোগি নিয়া প্রায় ৩মাস কাজ করে এ প্রতিমা তৈরী করেছেন। শরণখোলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও শরণখোলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বাবুর দাস জানায় এ উপজেলায় ২৭ টি পূজা মন্ডপ রয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে সরকারী অনুদান প্রদান করা হয়েছে। সুষ্টভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রায়েন্দা কালি মন্দিরে ৩দিন ব্যাপী চলছে সাংস্কিতিক অনুষ্ঠান।
শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ এস কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানায় পূজা শান্তিপূর্নভাবে পালন হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সোচ্ছার রয়েছে।