প্রধান মেনু

দেশী গরুর ক্রেতা কম,বেপারীরা দুশ্চিন্তায়

মোড়েলগঞ্জে আঞ্চলিক মহাসড়কে দু’ পাশে জমে উঠেছে পশুরহাট

বাগেরহাট প্রতিনিধি ।।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’পাশেই বসেছে পশুরহাট। শেষ মুর্হুতে জমে উঠেছে এ হাট । দেশীয় গরু বেশী থাকলেও ক্রেতা রয়েছে কম। দামও পাচ্ছেন বেপারীরা ।

সরেজমিনে শুক্রবার বিকেলে পৌর শহরের ছোলমবাড়িয়া বালুরমাঠে গিয়ে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত পরিমানে দেশীয় গরুর হাট বসেছে। পাশাপাশি রয়েছে ছাগল। গত বছরের চেয়ে এবারে দেশীয় গরু বাজারে বেশী উঠলেও ব্যাপারীরা বলেছেন বাজার দর রয়েছে কম। এদিকে বৃহস্পতিবার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি বাজারে মোড়েলগঞ্জ সাইন বোর্ড আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’পাড়েই জমজমাট পশুরহাট।
বাগেরহাট জেলা ও পাশ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার দূর দুরান্ত থেকে গরু বিক্রয় করার জন্য নিয়ে আসা বেপারিরা অনেকেই দুশ্চিন্তায় রয়েছে। দেশীয় ভাল জাতের গরু বাজারে তুললেও দাম পাচ্ছেন কম।

কথা হয় গরু বেপারী সন্ন্যাসী গ্রামের আবুল হোসেন হাওলাদার, দৈবজ্ঞহাটীর মোশারেফ বেপারী, জাহাঙ্গীর মল্লিক ও বাধাল থেকে আশা মনিরুজ্জামান শেখ বলেন, গত বছরে যে গরুটি বিক্রি হয়েছে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। এবারে সে গরুর দাম ক্রেতারা বলছেন ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। প্রতিটি গরুর দাম ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা কম। অথচ দেশীয় ভালো জাতের পাকিস্তানি বিজ জাতের গবাদী পশু এবারে বাজারে উঠেছে বেশী।
এদিকে ক্রেতা বলইবুনিয়া ইউনিয়নের বাস বাড়িয়া গ্রামের আলম শেখ ও বারইখালী পৌর বাসিন্দা মো. মহিউদ্দিন শিকারী বলেন, গত বছরের চেয়ে এবারে গরুর দাম তেমন পার্থক্য নয়, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে কম। তবে এবারে পর্যাপ্ত পরিমানে গরু বাজারে ওঠার কারনেই যাচাই বাচাই করে ক্রয় করতে পারছেন ক্রেতারা । কথা হয় বালুর হাটে হাট ইজারা নেওয়া ইদ্রিস শিকদারের সাথে তিনি জানান, বেপারীদের উৎসাহিত করার জন্য প্রতিবছর এ হাটে বেশী করে গরু উঠাবে এ জন্যই খাজনা নেওয়া হচ্ছে কম।

এ বিষয়ে পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেদোয়ানুল করিম, জানান, পৌর মেয়র এ্যাড. মনিরুল হক তালুকদারের উদ্যোগে এ বালুর মাঠে ৪ বছর ধরে এ পশুর হাট বসেছে। এ হাটকে জমানোর জন্যই দূর থেকে আশা বেপারীদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। মেয়রের নির্দেশে খাজনাও নেওয়া হয় কম। বহিরাগতরা কোন প্রকার বেপারীদের ওপর প্রভাব খাটাতে পারেনা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’পাড়ে ও ছোট-বড় বাজারের সড়কের রাস্তার পাশে ওপর কোন প্রকারেই পশুরহাট বসানো যাবেনা। ইতোমধ্যে এ যেসব ইউনিয়নগুলোর সড়ক-মহাসড়কের পাশে পশুর হাট বসে আসছে সে গুলো বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরেও হাট বসানো হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #

 






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*