প্রধান মেনু

 স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত ৩৫ হাজার মানুষ 

মোরেলগঞ্জে এক যুগ ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কেন্দ্র

 
 
এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট  ।।  
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কেন্দ্রটি এক যুগেরও বেশী ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। ৩৫ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি থেকে মেলছে না তাদের সেবা।
একজন মাত্র মেডকিলে অফিসার দ্বারা কোনমতে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে এর কার্যক্রম। অন্যান্য পদে জনবল রয়েছে সংকটে।  

সরেজমিনে জানাগেছে, বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যান কেন্দ্রটি র্দীঘ ১৪/১৫ বছর ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় সেখানে চলছে না কোন কার্যক্রম। বিকল্প ব্যবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে সেবা দিচ্ছেন সদস্য যোগদানকারি উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আহসান হাবিব। এফ ডবিøউ ভি ফতেমা বেগম কাগজে কলমে নাম থাকলেও যোগদানের পর থেকেই দেখা মেলেনি এ কেন্দ্রটিতে। তিনি রয়েছেন জেলা শহরে ডেপুটেশনে। ফার্মাসিষ্ট পদটি র্দীঘদিন ধরে শূন্য, ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারি পদ রয়েছে ৩টি, এর মধ্যে পিয়ন ও নিরাপত্তা প্রহরী পদটি শূন্য রয়েছে। শুধুমাত্র আয়া পদে সামছুন্নাহার  কর্মরত রয়েছে তিনিও আবার অনুপস্থিত। এফপি আই রাজীব, এফডবিøউ পদে দু’জন সালমা ও  পিয়ারা মাঠ কর্মী হিসেবে মাঠে থাকেন অফিসে তাদের কোন কাজ নেই বলে জানালেন মেডিকেল অফিসার।  চিকিৎসার ক্ষেত্রে জ্বর কাশি, সর্দি, ব্যাথা ও শিশু ও গর্ভবর্তী মায়েদের জন্য চিকিৎসা দিয়ে থাকে।
রেজিষ্টেট অনুযায়ী সকাল থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রোগী হয়েছে ১৯জন। এর মধ্যে ৫ জন শিশু।  

আহসান হাবিব বলেন, তিনি সদ্য যোগদান করে এ কেন্দ্রটিতে আসেন। বসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। রোগীপত্র দেখার সংকির্ন রুম, ওষুধপত্র রাখতে হচ্ছে মেঝেতে। নিজেদের ভবন যথক্ষন পর্যন্ত না হবে এভাবেই ভোগান্তিতে চলতে হচ্ছে।

এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাধারণ রোগীদের এ কেন্দ্রটি সম্পর্কে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের ফুলহাতা, নারিকেল বাড়িয়ার ২-৪জন রোগী এখানে আসে। বাকি গ্রামগুলোর কোন মানুষই সেবা পাচ্ছেনা। তারা বলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নেই কোন তদারকি। কোন মতে দিন শেষ করছেন একজন মেডিকেল অফিসার।  

এ সর্ম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান রিপন তালুকদার বলেন, র্দীঘদিন ধরে তার ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের তত্বাবধানে ইউনিয়ণ এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

বিষয়টি সর্ম্পকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ উপজেলা পর্যায়ে মাসিক সমন্বয় সভায় একাধিকবার উত্তোলন করা হলেও কোন পতিকার অদ্যবধী পর্যন্ত হয়নি। তিনি আরো বলেন তার ইউনিয়নের ৩৫ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রটি র্দীঘদিন পরিত্যাক্ত বিষয় সর্ম্পকে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করা হয়েছে। জনবল সংকটও জানানো হয়েছে। আশা করছি শ্রিঘই সমাধান হবে বলে তিনি আশ্বাস্ত করেন।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, পরিবার পরিকল্পনা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যান কেন্দ্রগুলো সর্ম্পকে ইতোপূর্বে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আর্কষন করে অবহিত করা হয়েছে। তার পরেও অনিয়মের বিষয়গুলো ইউনিয়ন পর্যায় থেকে অভিযোগ উঠছে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক মহাদয়কে অবহিত করা হবে। #






উত্তর দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*