মায়ের কবরের পাশে আজও কেদেঁ বেড়াচ্ছে আব্দুল জলিল,প্রতিপক্ষরা কেড়ে নিয়েছে ভিটেমাটি
এম.পলাশ শরীফ :
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামে একাধিক মামলায় ফাঁসিয়ে বসতবাড়ি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, গুলিশাখালী গ্রামের জলিল হাওলাদার ও তার স্বজনেরা ওয়ারিশ সূত্রে ২ একর ৬৫ শতক জমির মালিকানা স্বত্ত¡লাভ করেন। এ জমি থেকে কাতার প্রবাসী প্রতিবেশী ইব্রাহীম হাওলাদাররের কাছে তার পিতা সহ অন্যান্য শরীকরা .৭৮ শতক জমি বিক্রি করেন। ইব্রাহীম হাওলাদার প্রবাসে থাকায় একই গ্রামের গনি হাওলাদারের ছেলে মধু হাওলাদার তার সম্পত্তি দেখভাল করেন। এই মধু হাওলাদার জলিলের বসতবাড়ির বাকি জমিটুকু
দখলে নিতে নানা ফন্দি ফিকির করতে থাকে। এরই অংশ হিসেবে জলিল হাওলাদার ও তার স্বজনদের হয়রানি করতে ৮টি মামলা দায়ের করে। এসব হয়রানিমূলক মামলায় জড়িয়ে পরিবারের সকলকে এলাকাছাড়া করে বসতবাড়িটুকু দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিপক্ষ প্রতিবেশি ইব্রাহিম হাওলাদারের সহযোগী মধু হাওলাদার জলিলে বসতবাড়িটি দখল করে বিলান জমির সাথে মিলিয়ে দখল করে নিয়েছে। এ হয়রানির ধারবাহিকতায় মধু হাওলাদার ৪ জুন জলির এর বড় ভাই আবুল কালাম হাওলাদারের সম্পত্তিতে জোর করে বাউন্ডারি ওয়াল করে সবটুকু নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে নেয়। গোটাবাড়ি চটে বিলান জমিতে পরিনত করা হয়েছে। বাকি রয়েছে শুধু জলিল হাওলাদারের মায়ের কবরস্থানটি।
এ বিষয়ে মধু হাওলাদার বলেন, জালিলে সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। আমি ইব্রাহিম হাওলাদারের জমিজমা দেখাশুনা করি মাত্র। ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, আব্দুল জলিল ও তার ওয়ারিশগণ তাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সবটুকু জমি আমিসহ বিভিন্ন জনের নিকট বিক্রি করে দিয়েছে। দলিল বুনিয়াদেই আমি জমি ভোগ দখল করছি। জলিলের জমি জোরপূর্বক কেউ দখল করেনি।
সংবাদ কর্মীদের কাছে মায়ের কবরের পাশে দাড়িয়ে আব্দুল জলিল হাওলাদার বলেন, দেশে যদি ন্যায় বিচার থাকে সত্যের একদিন জয় হবেই। প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের যাতাকলে পিষ্ট গরীব অসহায় জলিল হাওলাদার সুবিচারের আশা করছে প্রশাসনের কাছে