মঠবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক জমি দখল ! মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণির অভিযোগ
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবিএম ফারুক হাসান কর্তৃক দরিদ্র একটি পরিবারের ওপর নির্যাতন, জমি জবরদখল ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রাণি অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় উত্তর মিঠাখালী গ্রামের কৃষক আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী শিল্পী বেগম বুধবার মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে গৃহবধূ শিল্পী বেগম অভিযোগ করেন, মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর মিঠাখালী গ্রামে তার স্বামী আনোয়ারুল ইসলামের পৈত্রিক ৯ কাঠা জমিতে আমরা বংশানুক্রমে বসবাস করে আসছি। মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হাসান দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বসতির জমি দখল করে আমাদের উচ্ছেদের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ২০০৯ সালে চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী দলবল মাঝেরপুল বাজার সংলগ্ন ৫ কাঠা জমি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জবর দখল করে রাতের আঁধারে সেখানে ঘর উত্তোলন করেন। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা বর্তমানে আদালতে চলমান।
গত ১১/০৩/২০২০ ইং তারিখ চেয়ারম্যানের যোগ সাজশে ও প্ররোচণায় পল্লীবিদ্যুতের লোকজন অন্যায়ভাবে গৃহবধূ শিল্পী বেগমের ঘরের মিটার খুলে নিয়ে যায়। এতে তার পরিবার বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েন। ঘরের বিদ্যুত লাইনের তার ও আনুসঙ্গিক মালামাল চেয়ারম্যানের লেলিয়ে দেওয়া লোকজন চুরি করে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যান বসতবাড়ির জমি তার দাবি করে পল্লীবিদ্যুত অফিসে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পরিবারটির বিদ্যুত সংযোগ কেটে দেয়।
চেয়ারম্যানের হুমকী ধামকি ও প্রাণনাশের ভয়ে ওই জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছেনা। সর্বশেষ, গত ০২/০৬/২০২০ ইং তারিখ দুপুর ১২টার দিকে চেয়ারম্যান ফারুক হাসান তার তিন সহযোগিরা মিলে বাড়ির সীমানা বেড়া ভাংচুর শুরু করে । বাঁধা দিতে গেলে চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার স্বামী আনোয়ারুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওই দিন চেয়ারম্যান ফারুক হাসান থানায় উল্টো সাজানো মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ আমার স্বামী আনোয়ারুলকে কোনও সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়াই গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। বর্তমানে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম ফারুক হাসান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিরোধীয় সম্পত্তি পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বলে তিনি দাবি করেন।